গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ফের নামতে পারে হড়পা বান? গত রবিবার হিমবাহ ধসের জেরে ঋষিগঙ্গা নদীর গতিপথে তৈরি হয়েছে বিপজ্জনক একটি হ্রদ। সেই হ্রদের দেওয়াল ভেঙে পাহাড়ি পথে ফের নেমে আসতে পারে বিশাল জলরাশির ভয়ানক স্রোত। এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ওই হ্রদ ঘিরে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ। তবে দ্বিতীয় বিপর্যয় এড়াতে পর্যবেক্ষণ, পরিকল্পনা ও সাবধানতা নিয়ে কাজ করছে এনডিআরএফ এবং অন্যান্য বাহিনী।
উপগ্রহ চিত্রে ওই হ্রদের আরও স্পষ্ট ছবি ধরার পর উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানী ও বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষ। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও), এনডিআরএফ-সহ বেশ কয়েকটি দল একসঙ্গে সমীক্ষা, পর্যবেক্ষণ এবং বিপর্যয় এড়াতে পরিকল্পনার কাজ করে চলেছেন। এনডিআরএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধান বলেছেন, "বিষয়টি নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং সমীক্ষা ও জরিপের কাজ করতে ইতিমধ্যেই একটি দল হ্রদের ধারে পৌঁছে গিয়েছে। শুক্রবার সকালেই হেলিকপ্টার, চালকহীন বিমান এবং ড্রোন উড়িয়ে বোঝার চেষ্টা হয়েছে গোটা পরিস্থিতি।’’ তিনি আরও বলেন, "ইতিমধ্যেই আমরা ওই হ্রদের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতা, দেওয়ালের জলের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা— এই সব বিষয়ে মাপজোক করার কাজ করছি। সেটা সম্পূর্ণ হলে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো হবে।’’
পরিস্থিতি ঠিক কেমন? উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ঋষিগঙ্গা নদীর গতিপথে হ্রদটি তৈরি হয়েছে। এই ঋষিগঙ্গা আবার খরস্রোতা রনতি নদীর জলধারায় পুষ্ট। এই দুই নদীর জলের মিলিত ধারা নেমে এসে তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে ঋষিগঙ্গার গতিপথে বাধার সৃষ্টি করেছে ওই হ্রদ। তাতে জলের পরিমাণ প্রচুর বেড়ে গেলে তার দেওয়ালে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। সেই চাপে হ্রদের দেওয়াল ভেঙে গেলে বিপুল জলরাশি একসঙ্গে প্রবল বেগে ধেয়ে আসবে হড়পা বানের আকারে। তাতে ফের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
সেই বিপর্যয় এড়াতেই নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছে এনডিআরএফ ও অন্যান্য বাহিনী। হ্রদের দেওয়াল কৃত্রিম ভাবে কেটে অল্প করে জল ছাড়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। না হলে ২০১৩ সালে কেদারনাথের ভয়াবহ হড়পা বানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও অনেকের আশঙ্কা। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে হ্রদ উপচে গিয়ে হড়পা বানের আকারে ঢাল বেয়ে নেমে এসেছিল কেদারনাথে। যার জেরে প্রায় ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy