সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। ফাইল চিত্র।
ঘৃণাভাষণের একটি মামলা থেকে দু’মাস আগেই তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল আদালত। মকুব হয়েছিল জেলে সাজা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানকে অন্য একটি ঘৃণাভাষণের মামলায় এ বার দোষী সাব্যস্ত করা হল। হল দু’বছর জেলের সাজা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ঠিক যে মেয়াদের সাজা হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। যে মেয়াদের সাজা জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পথে অন্তরায় হয়।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রামপুর কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন আজম। ওই বছরের ৮ এপ্রিল ধামোরা এলাকায় ভোটের প্রচারে তিনি প্ররোচণা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা করেন বলে অভিযোগ। সেই অপরাধেই রামপুরের সাংসদ-বিধায়ক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শোভিত বনশল দু’বছরের সাজার পাশাপাশি আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ভোটের প্রচারে রামপুরের মিয়াঁ কোতোয়ালি এলাকার খটনাগড়িয়া এলাকায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রামপুরের জেলাশাসক অনুজেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা করার অপরাধে গত বছরের অক্টোবরে আজমকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেলের সাজা দিয়েছিল রামপুরের সাংসদ-বিধায়ক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (গোষ্ঠীগত শত্রুতা বাড়ানো), ৫০৫-১ (প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে অস্থিরতা সৃষ্টি)-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল আজমকে।
কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে রামপুরের সাংসদ-বিধায়ক দায়রা আদালত সেই রায় খারিজ করে আজমকে বেকসুর খালাস করে। তার পরে জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। যদিও আজমের মুক্তির আগেই তাঁরবিধানসভা আসন রামপুরে উপনির্বাচন হয়ে যায়। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে সেখানে জেতে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy