Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Azam Khan

ঘৃণাভাষণের মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত আজম খান, যদিও তাঁর বিধানসভা এখন বিজেপির দখলে!

দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে বিধায়ক পদ খারিজ হয়। আজ়মকে রামপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তিন বছর জেলের সাজা দেওয়ায় পদ খারিজ হয়েছিল। কিন্তু দায়রা আদালত তাঁকে মুক্তি দিল।

Uttar Pradesh MP-MLA sessions court acquits Samajwadi Party leader and expelled MLA Azam Khan in 2019 hate speech case

রামপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় খারিজ করে ঘৃণাভাষণের মামলায় অভিযুক্ত আজম খানকে মুক্তি দিল সাংসদ-বিধায়ক দায়রা আদালত। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
লখনউ শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ১৭:৩৩
Share: Save:

ঘৃণাভাষণের অভিযোগে ৭ মাস আগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল উত্তরপ্রদেশের রামপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ৩ বছর জেলের সাজা হওয়ায় বিধায়ক পদও খারিজ হয়েছিল। কিন্তু বুধবার উত্তরপ্রদেশের এমপি-এমএলএ দায়রা আদালত ঘৃণাভাষণের সেই মামলায় সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানকে বেকসুর খালাস করার রায় দিল।

রায়ের পর খুশি আজমের আইনজীবী বিনোদ শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে আমার মক্কলকে ফাঁসানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিচারব্যবস্থা সক্রিয়তা দেখিয়েছে। সংবিধানের শাসন বলবৎ হয়েছে।’’ যদিও ইতিমধ্যেই আজমের বিধানসভা আসন রামপুরে উপনির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে সেখানে জিতেছে বিজেপি।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রামপুর কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন আজম। ভোটের প্রচারে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রামপুরের জেলাশাসক অনুজেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়েছিল রামপুরের সাংসদ-বিধায়ক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (গোষ্ঠীগত শত্রুতা বাড়ানো), ৫০৫-১ (প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে অস্থিরতা সৃষ্টি)-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল আজমকে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে ‘অপরাধমূলক মানহানি’র মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও গুজরাতের সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ২৩ মার্চ দোষী সাব্যস্ত করেছিল। পরের দিনই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করেন। ওই আইন অনুযায়ী ২ বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজ হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy