Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
India

দিল্লি-তালিবান কথা হোক, চায় আমেরিকা

কূটনীতিকদের মতে, এই ধরনের প্রস্তাব আমেরিকার দিক থেকে যেমন প্রথম, তেমনই ভারতের বিদেশনীতির পক্ষেও তা কিছুটা অভিনবই বটে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০২:৫৭
Share: Save:

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা খোলাখুলি ভাবে তালিবানকে জানাক ভারত। গত কাল ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে এই পরামর্শই দিয়েছেন আমেরিকার আফগানিস্তান সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি জ়ালমে খলিলজ়াদ। তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে ভারতের আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।

এক দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন এই মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি। বৈঠক করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। বৈঠকের পরে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারত আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। যদি ভারত এবং তালিবানের মধ্যে কথাবার্তা হয়, তাহলে তা প্রশংসিতই হবে। তাঁর কথায়, ‘‘ভারত তালিবানের সঙ্গে কথা বলবে কি না, তা নিয়ে দিল্লিই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে দু’দেশের সরকার, রাজনৈতিক শক্তি, সমাজের মধ্যে যোগাযোগ বাড়লে ভালই হবে।’’ খলিলজ়াদ জানান, আফগানিস্তানের মাটি যাতে ফের আমেরিকা বা তার মিত্র দেশগুলিতে হামলা চালানোর কাজে ব্যবহৃত না হয় তা নিশ্চিত করতে চাইছে ওয়াশিংটন। সে কাজে আন্তর্জাতিক সমর্থন খুব জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘এই সফরে আমার উদ্দেশ্যই ছিল ভারতকে পাশে পাওয়া।’’

কূটনীতিকদের মতে, এই ধরনের প্রস্তাব আমেরিকার দিক থেকে যেমন প্রথম, তেমনই ভারতের বিদেশনীতির পক্ষেও তা কিছুটা অভিনবই বটে। কারণ সরকার বদল হলেও নয়াদিল্লির আফগান নীতির মূলমন্ত্রই থেকেছে, আফগান সরকার পরিচালিত, আফগানিস্তানের মানুষের নেতৃত্বাধীন শান্তিপ্রক্রিয়া। ভারত কখনই আফগান সরকারকে এড়িয়ে তালিবানের সঙ্গে কথা বলেনি।

সূত্রের মতে, আমেরিকার কথায় ভারত এখনই তালিবানের সঙ্গে কথা বলা শুরু করবে, কি করবে না, সেটা অন্য প্রশ্ন। আপাতত অতিমারির প্রকোপে বিশ্বে অন্য কিছু নিয়ে ভাবার অবকাশও নেই। কিন্তু এই ধরনের প্রস্তাব দেওয়ার অর্থ, অনেক দিন পরে ফের আফগানিস্তান প্রশ্নে ভারতকে মঞ্চের কেন্দ্রে নিয়ে এল আমেরিকা। যা পাকিস্তান সরকারের কাছে কিছুটা অস্বস্তির কারণ। গত বছর ভারতকে বাদ রেখেই আফগানিস্তান নিয়ে আঞ্চলিক সম্মেলন করা হয়েছিল।

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খলিলজ়াদ বলেছেন, “এটা একটা ধাঁধার মতো। আফগানিস্তানের উন্নয়নের কাজে ভারতের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু যখনই আন্তর্জাতিক উদ্যোগের কথা উঠছে সেখানে ভারত নেই। এমনটাও হতে পারে ভারত দ্বিপাক্ষিক ভাবেই এগোতে চেয়েছে বরাবর। কিন্তু এ বার আমেরিকা-তালিবান শান্তি চুক্তির পরবর্তী পর্যায়ে ভারতের ভূমিকা বাড়বে, এটাই আমরা আশা করছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

India Taliban
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy