Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Indian Air Force

আগামী সপ্তাহেই বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে মার্কিন অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের

২০১৫-র সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা বোয়িংয়ের সঙ্গে ২২টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত।

অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলি মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি। —ফাইল চিত্র।

অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলি মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ১৪:১৪
Share: Save:

আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরেই মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই(আই) হেলিকপ্টারের অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনায়।

আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। সেখানেই বায়ুসেনায় হেলফায়ার ও স্ট্রিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্রে সুসজ্জিত হেলিকপ্টারগুলির অন্তর্ভুক্তি হতে চলেছে, যার পর আকাশপথে শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালানো আরও সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৫-র সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা বোয়িংয়ের সঙ্গে ২২টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। ১১০ কোটি মার্কিন ডলারে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৭ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকারও বেশি। এখনও পর্যন্ত মার্কিন সংস্থার কাছ থেকে ৮টি হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে বায়ুসেনা। ২০২০-র মধ্যে বাকিগুলি এসে পৌঁছবে। তাই আপাতত ওই ৮টি কপ্টার নিয়েই প্রথম অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন গড়ে তোলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, মন্তব্য রাহুল গাঁধীর, হিংসার জন্য পাকিস্তানের দিকে আঙুল​

এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত হল। ২০১৫ সালে অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের পাশাপাশি, কামান, গোলাবারুদ, যুদ্ধের প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদ পরিবহণের জন্য বোয়িংকেই ১৫টি চিনুক সিএইচ-৪৭এফ(আই) হেলিকপ্টারের বরাত দেয় ভারত। এখনও পর্যন্ত চারটি চিনুক কপ্টার হাতে পেয়েছে বায়ুসেনা। গত ২৫ মার্চ চণ্ডীগড়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেগুলিকে বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এত দিন যদিও রসদ সরবরাহ করতে সোভিয়েত প্রযুক্তিতে তৈরি এমআই-২৬ কপ্টারই ব্যবহার করা হত।

আরও পড়ুন: উর্দি পরে মমতাকে পা ছুঁয়ে প্রণাম, বিতর্কে আইজি রাজীব মিশ্র​

অ্যাপাচে ও চিনুক হেলিকপ্টার হাতে পাওয়ায় বায়ুসেনার আধুনিকীকরণ হলেও, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তির মতো এই চুক্তি নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। প্রতিরক্ষা-সহ কোন খাতে সরকার কত খরচ করছে, সেই হিসাব রাখে যে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি), গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে একটি রিপোর্ট জমা দেয় তারা। তাতে বলা হয়, কাউকে না জানিয়ে বোয়িং সংস্থার পরামর্শে অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের সরঞ্জামে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, বায়ুসেনার চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। সব দিক খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়. শুধুমাত্র বোয়িংয়ের পরামর্শে নয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy