ফাইল চিত্র।
রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ সরঞ্জাম আমদানি নিয়ে নরম মনোভাব নিতে দেখা যাচ্ছে ওয়াশিংটনকে। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং বর্তমান ভূ-রাজনীতিতে চিনকে প্রতিহত করা আমেরিকার কাছে অগ্রাধিকার। আর সে কারণেই ভারতের বিরুদ্ধে ‘ক্যাটসা’ বা ‘কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভার্সারিস থ্রু স্যাংশন অ্যাক্ট’ অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা সে ভাবে প্রয়োগ করবে না ওয়াশিংটন। এক কথায় ভারত, রাশিয়া থেকে উচ্চপ্রযুক্তির ও বড় পরিমাণে যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম কিনলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রশ্নটি কিছুটা ঢিলেঢালার সঙ্গে দেখবে বাইডেন প্রশাসন।
সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা নীতি সংক্রান্ত দূত জেমস ও’ব্রায়েন বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করেছেন। তিনি সে দেশের কংগ্রেসের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, আমেরিকার নীতি এবং ভারতের ভূকৌশলগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে ‘ভারসাম্য’ বজায় রাখতে হবে। তাঁর কথায়, “রাশিয়া থেকে যুদ্ধাস্ত্র কেনার ব্যাপারে আমরা ভারতকে নিরুৎসাহ করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত বিষয় রয়েছে। বিশেষ করে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের দিকটি রয়েছে। ফলে আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে আমাদের একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তুরস্ক রাশিয়ার থেকে এই একই এস-৪০০ কেনার পরে আমেরিকার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার রিপাবলিকান সেনেটরদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারত এবং তুরস্ক— দু’দেশের সঙ্গে দু’রকম আচরণের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সেনেটর টড ইয়ং। এর আগেও তিনি চিঠিতে প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সহযোগী ভারত। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তারা জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি অন্যতম সহযোগীও বটে। আমেরিকার উচিত নয় ভারতকে বিব্রত করা। ইয়ং সম্প্রতি বলেছেন, “তুরস্ক এবং ভারতের নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন। আমাদের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত অংশিদারিত্বও এক নয়।”
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, চিনের সঙ্গে যখন সীমান্তে সংঘাতের আবহ চলছে, তখন এই প্রতিরোধ সরঞ্জাম ভারতের কাছে কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, এই বিষয়টি আমেরিকার প্রশাসনকে বোঝাতে সমর্থ হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিন মাস আগে এই নিয়ে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী দীর্ঘ বৈঠক করেছেন আমেরিকার সেনেটর জন কর্নিনের সঙ্গে। ঘটনা হল, কর্নিন সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে আবেদন করেছেন, ভারতকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখতে। তাঁর যুক্তি, ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে তা দু’দেশের কৌশলগত সম্পর্কের পক্ষে ক্ষতিকর হবে। বর্তমান ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে তা ওয়াশিংটনের জন্য কাঙ্ক্ষিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy