অরুণাচলের ১১টি স্থানের নাম বদল নিয়ে চিনকে কঠোর বার্তা দিল আমেরিকা। ফাইল চিত্র।
অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নাম বদলের পরেই চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়াল আমেরিকা। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে তারা। পাশাপাশি জো বাইডেনের প্রশাসনের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, নাম বদলের মাধ্যমে কোনও এলাকা দখল করার চেষ্টাকে তারা ভাল ভাবে নিচ্ছে না। বরং এই চিনের এই চেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে আমেরিকা।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কেরিন জ্যঁ পিঁয়ের তাঁর দৈনন্দিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই ওই অঞ্চল (অরুণাচল প্রদেশ)কে ভারতের অবিচ্ছদ্য অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে আমেরিকা। ওই অঞ্চলের নাম বদলের মাধ্যমে আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টার আমরা তীব্র নিন্দা করছি।” প্রেস সচিবের বিবৃতিতে কোথাও চিনের নাম না থাকলেও এর মাধ্যমে শি জিনপিংয়ের দেশকেই যে নিশানা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট।
মঙ্গলবারই চিনের অসামরিক মন্ত্রকের তরফে অরুণাচলের ১১টি জায়গার নাম বদলে দেওয়া হয়। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমসে’র তরফে এই খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে। চিনের তরফে দাবি করা হয়, জায়গাগুলি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। তাই স্থানীয় মানুষদের উচ্চারণের সুবিধার্থেই জায়গাগুলোর নাম বদলানো হল। যে ১১টি জায়গার নাম বদলানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে পর্বতশৃঙ্গ, নদী, এমনকি বসতি অঞ্চলও। এটাই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেও চিনের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে অরুণাচল প্রদেশের একাধিক জায়গার নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
চিন এই পদক্ষেপ করার পরেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, নাম বদলালেই বাস্তবটা বদলানো যাবে না। অরুণাচল যে ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে, সে কথা জানিয়ে চিনের এই ‘চেষ্টা’কে খারিজ করে দেয় ভারত। তবে বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অরুণাচল নিয়ে আমেরিকার ভারতের পাশে দাঁড়ানোকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কিছু দিন আগে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে লাদাখ সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার জন্যও চিনকে দুষেছিল আমেরিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy