Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
love

ঘর বাঁধতে বদলে ফেলেন লিঙ্গ, সেই সঙ্গিনীই ঘর ছেড়ে গেলেন অন্য প্রেমিকের সঙ্গে

সানা এবং সোনালের মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব পরবর্তী কালে রূপ নেয় প্রেমের। সানা নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়ে নতুন নাম গ্রহণ করেন সোহেল খান। তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন।

সানা-সোহেলের সম্পর্কের বয়স যখন মাস চারেক, তখন সোনালের বাড়ি থেকে দু’জনের মেলামেশায় বাধা দেওয়া হয়।

সানা-সোহেলের সম্পর্কের বয়স যখন মাস চারেক, তখন সোনালের বাড়ি থেকে দু’জনের মেলামেশায় বাধা দেওয়া হয়। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ঝাঁসি শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৫
Share: Save:

এ যেন হিট ছবির চিত্রনাট্যকেও বলে বলে ১০ গোল দেওয়া! যে বান্ধবীর সঙ্গে ঘর বাঁধতে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছিলেন, সেই মেয়েই অন্য ছেলের প্রেম করে ঘর ভাঙলেন। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির। একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। থানা, পুলিশ করার পর মামলা এখন আদালতে।

ঝাঁসিতে একটি পরিবারে পেয়িং গেস্ট থাকতে এসেছিলেন সানা। সেই বাড়ির মেয়ে সোনালের সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক ক্রমশ গড়ায় প্রণয়ের সম্পর্কে। সম্পর্কের বয়স যখন মাস চারেক, তখন সোনালের বাড়ি থেকে দু’জনের মেলামেশায় বাধা দেওয়া হয়। দু’জনের সখ্য পছন্দ নয় বাড়ির লোকের। কিন্তু প্রেম আবার বাধা মেনেছে কবে!

সরকারি চাকুরে সানা অফিস থেকে একটি কোয়ার্টার পান। পেয়িং গেস্ট ছেড়ে সেখানে এসে ওঠেন তিনি। কিছু দিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে সানার কাছে চলে আসেন সোনালও। শুরু হয় দু’জনের সংসার। এই সময়ের মধ্যে সানাকে লিঙ্গ পরিবর্তন করাতে রাজি করিয়ে ফেলেন সোনাল। দু’জনে মিলেই যান দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালে। সেখানে নানা ধরনের পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারেন সানা। সেই মতো ২০২০-এর ২২ জুন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষ হয়ে ওঠেন সানা। নতুন নাম নেন সোহেল খান। এরই মধ্যে সরকারি চাকরি পেয়ে যান সোনালও। সমস্যার সূত্রপাতও তখন থেকেই।

অভিযোগ, নতুন চাকরি পাওয়ার পরই সোনালের মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন সানা। বাড়িতে খুব কম সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। কথায় কথায় রেগে ওঠা, ধৈর্য হারানোরও সেই শুরু। যা পরবর্তী কালে স্বামী-স্ত্রীর বচসার রূপ নেয়। এক দিন সানা জানতে পারেন, যে হাসপাতালে সোনাল চাকরি করেন, সেখানেই জনৈক জ্ঞানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সোনাল। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে রাগারাগি চলাকালীন সোনাল স্পষ্টই সানাকে জানিয়ে দেন, তিনি জ্ঞানের সঙ্গেই থাকতে চান। সানার ঘর ছাড়েন সোনাল, ফিরে আসেন ঝাঁসিতে নিজের বাড়িতে।

এর পরের ঘটনাপ্রবাহে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। সোনালের পরিবার সানার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। ডেকে পাঠানো হয় সোনালকে। তখনকার মতো মিটমাট করিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু তাতে খুশি ছিলেন না সানা। তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত থেকে সোনালকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন করা হয়। কিন্তু একের পর এক সমনেও নীরব থাকেন সোনাল। তাই পুলিশ গত ১৮ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে জামিনে মুক্ত সোনাল।

অন্য বিষয়গুলি:

love police arrest Bail
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE