কম্বল নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে লখনউয়ের ঘণ্টাঘর এলাকায় শুক্রবার থেকেই জমায়েত হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এ বার সেই ধর্নাস্থল থেকে কম্বল ও খাবারের প্যাকেট কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সেই তাণ্ডবের ছবি প্রকাশ হতেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই যোগী রাজ্যের পুলিশকে ‘কম্বল চোর’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বিদ্রুপের মুখে পুলিশের দাবি, উপযুক্ত প্রক্রিয়া মেনেই কম্বলগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা।
দিল্লির শাহিনবাগের বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়ে লখনউয়ের ঘণ্টাঘর এলাকায় প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই জমায়েতে বসেছিলেন অনেক মহিলা। মোবাইল ফোনে তোলা একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, শনিবার বিকেলে ধর্নাস্থলে থেকে কম্বল তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের পিছনে ছুটছেন অনেকেই। চিৎকার করতে করতে পুলিশের পিছনে ছুটতে ছুটতে তাদের ‘চোর’ বলছেন এক মহিলা। জিজ্ঞাসা করছেন, কম্বল নিয়ে যাচ্ছেন কেন? পুলিশের অনেকের মুখই হেলমেটে ঢাকা ছিল। বিক্ষোভকারীদের জন্য রাখা খাবারের প্যাকেটও তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে। মাটিতে বসার জন্য যে বিক্ষোভকারীরা যে প্লাস্টিক পেতেছিলেন, তা-ও তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
সিএএ-র বিরোধিতায় প্রায় পঞ্চাশজন মহিলা শুক্রবার থেকেই ঘণ্টাঘরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। যত ক্ষণ ওই আইন প্রত্যাহার না হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ধর্না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সময় যত এগিয়েছে, ভিড় বেড়েছে ধর্নায়। জড়ো হয়েছেন আরও অনেক মহিলা। সেই বিক্ষোভকে সামাল দিতে যোগী সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সমাজমাধ্যমে অনেকেই যোগী ও লখনউ পুলিশকে ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করছেন।
লখনউ পুলিশের দাবি, ঘণ্টাঘরের ধর্না অবৈধ। বিক্ষোভকারীরা তাঁবু খাটাতে গিয়েছিলেন, যা আইনবিরুদ্ধ। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে লখনউয়ে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। অনেকেই বলছেন, গত মাসে সিএএ নিয়ে বিক্ষোভের পরে জনজীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে যে সব পদক্ষেপ করা হয়েছিল, তা কবে প্রত্যাহার হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy