Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

‘মেরে ফেল’ শোনা মাত্রই ট্রিগারে চাপ

ওই ভিডিয়োটি গত কাল কানপুরে বিক্ষোভ চলাকালীন তোলা হয়েছে বলে সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন অনেকে।

ভাইরাল হওয়া গুলিচালনার ভিডিয়োয় রিভলভার হাতে পুুলিশ।

ভাইরাল হওয়া গুলিচালনার ভিডিয়োয় রিভলভার হাতে পুুলিশ।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৪
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সামলাতে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি করছে সে রাজ্যের পুলিশ। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছে বলে দাবি অনেকের। অন্য দিকে কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে ১৯ ডিসেম্বর পুলিশের গুলিতে নিহত জলিল ও নৌশিনের নাম অশান্তির মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় উল্লেখ করেছে পুলিশ। কিন্তু জলিলের পরিবারের দাবি, তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভের কোনও সম্পর্কই ছিল না।

ওই ভিডিয়োটি গত কাল কানপুরে বিক্ষোভ চলাকালীন তোলা হয়েছে বলে সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন অনেকে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাস্থলে জ্বলছে দু’টি গাড়ি। তখনও উল্টো দিক থেকে ইটের টুকরো এসে পড়ছে রাস্তায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে পুলিশ। তার মধ্যেই রিভলভারের ‘সেফটি ক্যাচ’ খুলে সামনের দিকে দৌড়ে গেলেন পুলিশ অফিসার। পিছন থেকে অন্য পুলিশকর্মীরা তখন চেঁচাচ্ছেন, ‘‘সব ক’টাকে মেরে ফেল।’’ তার পরেই ট্রিগারে চাপ দিলেন অফিসার।

গত কালও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ দাবি করেছেন, ‘‘পুলিশ একটিও গুলি চালায়নি।’’ তাদের পাল্টা দাবি, বিক্ষোভকারীদের একাংশই দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে। ৫৭ জন পুলিশ গুলিতে আহত হয়েছেন। অন্য দিকে ১৯ ডিসেম্বর মেঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে নিহত জলিল ও নৌশিনের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কর্নাটক সরকার। কিন্তু তাঁদের নাম অশান্তির মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে মেঙ্গালুরু পুলিশ। কিন্তু জলিলের পরিবারের দাবি, তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভের কোনও যোগই ছিল না। জলিলের মেয়ে শিফানির বক্তব্য, ‘‘ওরা চোখের সামনে বাবাকে মেরে ফেলল।’’ মেঙ্গালুরুর বুন্দের এলাকার বাসিন্দা জলিল ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর পরিবারের দাবি, অশান্তির জেরে স্কুল থেকে ফেরার সময়ে স্কুলভ্যান জলিলের মেয়ে শিফানি ও ছেলে সাবিলকে মাঝপথে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। তাই জলিল তাদের আনতে গিয়েছিলেন। তাদের নিয়ে যখন জলিল বাড়ি পৌঁছন তখনই পুলিশের গুলি এসে লাগে তাঁর চোখে।

এ দিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় মেঙ্গালুরু থেকে কার্ফু তুলে নেয় রাজ্য সরকার। তার পরে জলিল ও নৌশিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ তুলে দেন জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার অমানবিক। দু’জনকে খুন করা হল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Uttar Pradesh Police Violence CAA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE