প্রতীকী ছবি।
ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইনকে হাতিয়ার করে যোগী-রাজ্যে সংখ্যালঘুদের নানা ভাবে হেনস্থার পালা অব্যাহত। এ বারে এক ২৪ বছরের মহিলার ‘জোর করে ধর্মান্তরণ’ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তিন মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে ‘ভুল করে মামলা করা হয়েছে’ বলে দু’দিন পরে স্বীকার করল খোদ পুলিশই! যদিও তার পরেও এই আইনকে সামনে রেখে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ হবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের বরেলীর বাসিন্দা এক ২৪ বছরের তরুণী গত সেপ্টেম্বরে আবরার নামে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে ঘর ছাড়ে। তার পরেই ফরিদপুর থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ জমা পড়ে। ওই তরুণী আবরারের সঙ্গে দিল্লির তুঘলকাবাদ এলাকায় দিন পনেরো একসঙ্গে বসবাসও করেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার পরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এর পরে গত এক জানুয়ারি আবরার-সহ তিন জন মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে যোগী সরকারের নয়া ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইনে মামলা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ওই তরুণী য়খন ফরিদপুরে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন, সে সময় আবরার এবং তাঁর দুই তুতো-ভাই মইসুর এবং ইরশাদ তাঁকে বিয়ের জন্য জোর করে ধর্মান্তরণের চেষ্টা করেন। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তরা ওই সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন না!
পুলিশ যে সব তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছে, তাতে স্পষ্ট, ওই মহিলা এবং তাঁর মামা তিন যুবকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছিলেন তা মিথ্যে এবং বিষয়টি নিয়ে আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে। বরেলীর এসএসপি রোহিত সিংহ সাজওয়ান অবশ্য জানিয়েছেন, আবরার ওই মহিলাকে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ১১ ডিসেম্বর ওই মহিলার মামা বরেলীর আনোলায় তাঁর বিয়ে দেন। অভিযোগ, আবরার ওই মহিলার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ফরিদপুরে ফিরে এসে দেখা করতে বলেন এবং তা না করলে সমস্যা হবে বলে হুমকি দেন। পুলিশ-কর্তাটি জানিয়েছেন, এই অভিযোগটি তা সত্যি হলে আবরারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy