উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত অপরাধীরা এখন রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দি। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের ১০ কুখ্যাত অপরাধীর তালিকা তৈরি করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই দশ জনের উপর ২৪ ঘণ্টা কড়া নজর রাখা হবে। শুধু তাই-ই নয়, রাজ্যের যে সব জেলে এই অপরাধীরা বন্দি সেই সব জেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে। যে অপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার, তাঁরা কারা?
মুখতার আহমদ আনসারি: উত্তরপ্রদেশের মউয়ের বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) পাঁচ বারের বিধায়ক মুখতার আনসারি। খুন, অপহরণ, তোলাবাজি-সহ একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১৭ বছর ধরে জেলে বন্দি তিনি। তাঁর এতটাই ক্ষমতা যে, জেলে বসেই নাকি গ্যাং চালান তিনি। নির্বাচনও জিতেছেন জেলে বসেই। ২০০৫ সালে মউয়ে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও বিজেপি নেতা কৃষ্ণানন্দ রাও এবং তাঁর ৭ সঙ্গীকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে আনসারির বিরুদ্ধে। প্রথমে তাঁকে গাজিপুর জেলে রাখা হয়। সেখান থেকে মথুরা জেল, তার পর আগরা এবং পরে বান্দা জেলেও রাখা হয়েছিল। এর পর কিছু সময় পঞ্জাবের জেলে বন্দি ছিলেন। সেখান থেকে আবার বান্দা জেলে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। ২০০৫ সাল থেকে জেলবন্দি মুখতার।
আব্বাস আনসারি: মাফিয়া ডন এবং প্রাক্তন বিধায়ক আব্বাস আনসারির বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা ঝুলছে। মুখতার আনসারির পুত্র তিনি। শটগান শ্যুটিংয়ে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তিনি। ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মউ সদর থেকে সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তাঁকে চিত্রকূট জেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী নিকহত আনসারি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। নিকহতকে গ্রেফতার করা হয়। আব্বাসকে কাসগঞ্জ জেলে স্থানান্তরিত করা হয়।
সুভাষ ঠাকুর: উত্তরপ্রদেশের অন্যতম কুখ্যাত অপরাধী সুভাষ ঠাকুর। তিনি বাবা নামেও পরিচিত। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত সুভাষকে প্রথমে বারাণসী জেল এবং পরে ফতেহগড় জেলে পাঠানো হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সুভাষকে। উত্তরপ্রদেশ থেকে মুম্বই, সুভাষের অপরাধের জাল বিস্তৃত। শোনা যায়, দাউদ ইব্রাহিমও সুভাষকে নিজের গুরু বলে মানেন।
বাবলু শ্রীবাস্তব: অপরাধের দুনিয়ায় তিনি ‘কিডন্যাপিং কিং’ নামে পরিচিত। কলেজজীবন থেকে বেরোনোর পর অপরাধের দুনিয়ায় ঢুকে পড়েন বাবলু। আসল নাম ওমপ্রকাশ শ্রীবাস্তব। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা। বাবলুর বাবা প্রকাশ শ্রীবাস্তব কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। দাদা বিকাশ ভারতীয় সেনার কর্নেল ছিলেন। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বাবলু। অপহরণ এবং তোলাবাজির মামলায় বাবলুর ধারেকাছে কেউ ঘেঁষতে পারবে না। বরেলী জেলে বন্দি বাবলু।
সুন্দর ভাটী: সাত বছর ধরে জেলে বন্দি। বর্তমানে সোনভদ্র জেলে বন্দি রয়েছেন সুন্দর। ২০১৪ সালে গ্রেটার নয়ডা থেকে সুন্দরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুন্দরের গ্যাংয়ের নাম ডি-১১। খুন, লুটপাটের মতো একাধিক ঘটনায় জড়িত ডি-১১।
বিজয় মিশ্র: ভাদোহীর প্রাক্তন বিধায়ক বিজয়। বর্তমানে আগরা জেলে বন্দি। আত্মীয়ের সম্পত্তি জোর করে দখল, ধর্ষণ-সহ একাধিক মামলা রয়েছে বিজয়ের বিরুদ্ধে। জ্ঞানপুরের বিধায়ক ছিলেন তিনি।
খান মুবারক: হরদোই জেলে বন্দি খান মুবারক। কুখ্যাত শার্প শুটার জাফর সুপারির ভাই খান মুবারক। জাফরের বেশির ভাগ কাজ সামলান খান মুবারক।
সঞ্জীব জিবা মাহেশ্বরী: উত্তরপ্রদেশের অন্যতম কুখ্যাত শার্প শুটার সঞ্জীব। মুখতার আনসারির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মুখতারের শুটার হিসাবে কাজ করতেন তিনি। বর্তমানে মইনপুরী জেলে বন্দি।
আতিফ রাজা: শরজীল রাজা নামেই অপরাধ দুনিয়ায় তিনি পরিচিত। মুখতার আনসারির শ্যালক শরজীল। ওঁর বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে মামলা চলছে। প্রয়াগরাজ জেলে বর্তমানে বন্দি শরজীল।
যোগেশ ভদোড়া: পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার যোগেশ। ১৫ বছর ধরে পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। খুন, তোলাবাজি, অপহরণ-সহ একাধিক মামলায় ২০১৩ সাল থেকে জেলবন্দি। যোগেশের গ্যাং ডি-৭৫ নামে পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy