চশমা ছাড়া লেখা পড়তে না পারায় বিয়ে বাতিল করলেন পাত্রী।
সব পরীক্ষাতেই উতরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চোখের পরীক্ষা হতেই ‘পরীক্ষক’ পাত্রীর কাছে ফেল করলেন মেধাবী পাত্র। শেষমেশ ভেঙেও গেল বিয়েটা! উত্তরপ্রদেশের অরাইয়া জেলার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন সিংহ তাঁর মেয়ে অর্চনার বিয়ে ঠিক করেছিলেন বাঁশি গ্রামের শিবমের সঙ্গে। পাত্র উচ্চশিক্ষিত। স্বাভাবিক ভাবেই পাত্রীর পরিবারের পছন্দও হয়ে যায়।
দুই পরিবারের মধ্যে পাকা কথাও হয়ে গিয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে। দিনও স্থির করা হয়েছিল। বিয়ের আগে ‘সগুন’ অনুষ্ঠানে পাত্রকে একটা মোটরবাইকও দেওয়া হয় যৌতুক হিসেবে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু গল্পের মোড় নেয় বিয়ের দিন।
বরপোশাকে সেজেগুজে অর্চনার বাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শিবম। তাঁর চোখে চশমা ছিল। সর্ব ক্ষণই সেটা পরেছিলেন শিবম। পাত্রী অর্চনা বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তখনই তাঁর সন্দেহ হয়, তাঁর হবু বর চোখে ঠিক মতো দেখতে পান না। তখন শিবমকে ডেকে তাঁর চোখের পরীক্ষা নিতে বসেন অর্চনা। চশমা ছাড়া তাঁকে একটা খবরের কাগজ পড়তে দেওয়া হয়। শিবম খালি চোখে সেই লেখা পড়তে ব্যর্থ হন। তখনই অর্চনা তাঁর পরিবারকে জানিয়ে দেন, এ বিয়ে করতে তিনি রাজি নন। ফলে ছাদনাতলায় বসার আগেই বিয়ে ভেস্তে যায়।
অর্চনার বাবা অর্জুনের দাবি, ‘আমাদের কোনও ধারণা ছিল না যে পাত্রের দৃষ্টিশক্তি এত খারাপ। মেয়ে বিষয়টা বুঝতে পেরেই বিয়ে বাতিল করেছে।’
এর পরই অর্চনার পরিবার শিবমের পরিবারকে দেওয়া টাকা, গাড়ি সব ফেরত দেওয়া দাবি জানান। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় খরচও দিতে হবে বলে দাবি তোলেন তাঁরা। শিবমের পরিবার তা দিতে অস্বীকার করলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন অর্চনার পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy