ফাইল চিত্র।
যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের ভোটকে ৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশের লড়াই হিসেবে তুলে ধরে রাজ্যের সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন বলে বিজেপি বিরোধীরা অভিযোগ তুললেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা একে ‘চারশো বিশি’ তকমা দিয়ে বলেছেন, এই ৮০-২০-র কথা বলাটা তরুণ প্রজন্মের সমস্যা থেকে অন্যত্র নজর ঘোরানোর কৌশল।
প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, আসলে উত্তরপ্রদেশে ১০০ জনের মধ্যে ৬৮ জনের রোজগার নেই। তরুণ প্রজন্মকে নিজের জোরে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনকে রোজগার, শিক্ষার মতো প্রশ্নের ভোট হিসেবে দেখার ডাক দিয়েছেন তিনি।
বিজেপি নেতারা অবশ্য তা হতে দিতে চাইছেন না। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে ‘ধর্মও কখনও কখনও অন্ধ বিশ্বাস হয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে অনেকেরই বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী নয়ডায় গেলেই হেরে যান। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অখিলেশ কখনও সেখানে যাননি। তাঁর বক্তব্য, যোগী নয়ডা গিয়েছেন। অতএব হেরে যাবেন। এটা ‘কুসংস্কার’ বা ‘অন্ধ বিশ্বাস’ বলে অভিযোগ ওঠায় অখিলেশ বলেন, ‘‘ধর্মও অন্ধ বিশ্বাস।’’ বিজেপি নেতা, উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের পাল্টা মন্তব্য, সমাজবাদী পার্টির আসল চরিত্র এতেই প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তাদের অযোধ্যার রামমন্দির, কাশী বিশ্বনাথ ধাম, মথুরা সবেতেই আপত্তি। সংখ্যালঘু ভোট পেতে এসপি এখন ইমরান মাসুদকে দলে নিচ্ছে। যে মাসুদ নরেন্দ্র মোদীকে টুকরো টুকরো করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
কিন্তু যোগী নির্বাচনকে ৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশর লড়াই হিসেবে তকমা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনকে ৮০ শতাংশের কাছাকাছি হিন্দু ও ২০ শতাংশের কাছাকাছি মুসলিমদের লড়াই হিসেবে তুলে ধরে ভোটের মেরুকরণ করছেন? বিজেপি নেতা অলোক বৎসের যুক্তি, যোগী ধর্মীয় মেরুকরণ করেননি। এই ২০ শতাংশের মধ্যে ৯ শতাংশ গুন্ডা-মাফিয়া, ৩.৫ শতাংশ জমি মাফিয়া, ২ শতাংশ মহিলাদের উপরে নিপীড়নকারী, ২ শতাংশ পাকিস্তানপন্থী ও ১.৫ শতাংশ বন্দেমাতরম-বিরোধী। কোথা থেকে বিজেপি এই তথ্য পেয়েছে, তা অবশ্য অলোক বলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy