প্রতীকী ছবি।
উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে চাপের মুখে তাঁর ভাই জয়দীপ সিংহকে আজ সকালেই গ্রেফতার করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পুলিশ।
বিধায়ক ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ১৮ বছর বয়সি এক তরুণী গত রবিবার যোগীর বাসভবনের বাইরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ, ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে উল্টে কিশোরীর বাবাকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
আর গত কালই পুলিশ হেফাজতে তরুণীর বাবার মৃত্যু হলে পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ আনা হয়। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় আজ সকালে জয়দীপ সিংহ ওরফে অতুল সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে ধর্ষিতার বাবার মৃত্যু নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। কী কারণে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর রিপোর্ট কমিশনকে জানানো হয়নি, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। জানিয়ে দিয়েছে, গণধর্ষণ ও নির্যাতিতার বাবার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তা হলে সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত নিদর্শন। ভবিষ্যতে যাতে তাঁদের হেনস্থা হতে না হয় তাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুিপ্রম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে আজ।
তবে বিধায়কের ভাইয়ের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে হাতে লেখা অভিযোগ ও এই সংক্রান্ত এফআইআরের কপি স্পষ্ট করে দিয়েছে, শুরু থেকেই রাজনীতিকদের চাপের মুখেই কাজ করে গিয়েছে পুলিশ। ধর্ষিতা তরুণীর অভিযোগ, জুন মাসে বিধায়ক ও তার ভাই ধর্ষণ করেছিল তাঁকে। বারবার অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এক বছর পরে এফআইআর হয়। কিন্তু গত ৩ এপ্রিল জয়দীপ দলবল নিয়ে তরুণীর বাবাকে মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। মারধরের জেরে ধর্ষিতার বাবার গায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। আর এফআইআর তুলতে রাজি না হওয়ায় জয়দীপদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকেই অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ ও এফআইআরের কপি মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, তরুণীর পরিবার লিখিত ভাবে জয়দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও এফআইআরে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। আজ অবশ্য ওই মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবেই বিধায়কের ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার ইস্তফার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘আমার নাম টেনে আনা হচ্ছে বলেই কি ইস্তফা
দিতে হবে?’’ তাঁর দাবি, ‘‘সব অভিযোগ মিথ্যে। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy