নভেম্বরে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে পঞ্চম সেমেস্টারের অঙ্ক পরীক্ষা হয়েছিল। তার ফল প্রকাশ হয়েছে শুক্রবার। প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষা ছিল ১০০ নম্বরের। তবে পরীক্ষার্থীরা পেয়েছেন ১১৫ নম্বর! শুক্রবার মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের অঙ্ক পরীক্ষার ফলাফলে এ হেন গরমিল ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলেছেন, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্কে এত কাঁচা? যদিও প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরেই এ হেন গরমিল হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত বছরের নভেম্বরে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে পঞ্চম সেমেস্টারের অঙ্ক পরীক্ষা হয়েছিল। তার ফল প্রকাশ হয়েছে শুক্রবার। অভিযোগ, ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় মোট ৬ জনে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ১০০ ছাপিয়ে গিয়েছে। ওই পরীক্ষার্থীরা সকলেই মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ মোমিন কলেজের পড়ুয়া। ৬ জনের মধ্যে কারও নম্বর ১১৫। আবার কেউ পেয়েছেন ১০৬। রেজাল্টে এ হেন গরমিল নিয়ে সমাজমাধ্যমে ঠাট্টাতামাশা শুরু হয়েছে।
নম্বর ছাড়া অন্য তথ্যেও গরমিল ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট সদস্য সঞ্জয় বায়রল বলেন, ‘‘পরীক্ষা দিলেও বেশ কয়েক জন পড়ুয়াকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। রেজাল্টেও বিস্তর ভুল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় কয়েক জনকে ১১৫ এবং কিছু পড়ুয়াকে ১০৪ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের নম্বরে গরমিল করাটা ক্ষমার অযোগ্য।’’ তাঁর দাবি, প্রায়শই এ ধরনের ভুল করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের জেরেই এ ধরনের গরমিল হচ্ছে।’’
নম্বরে গরমিলের বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি, ‘‘সফ্টঅয়্যারে প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই এ ধরনের ভুল হয়েছে। তা শুধরে নিয়ে পরিবর্তিত রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy