সাসপেনশনের বিরুদ্ধে সংসদ চত্বরে বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভ। —ফাইল চিত্র।
শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া সব সাংসদের সাসপেনশন তুলে নেওয়া হবে বলে জানাল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সংসদে দ্বিতীয় মোদী সরকারের এটিই শেষ অধিবেশন। তার আগের দিন, মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠকের পর সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “সব সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে।”
বুধবার সাসপেন্ড হওয়া সব সাংসদকেই সংসদের দুই কক্ষে দেখা যাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ।” শীতকালীন অধিবেশনে ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৩২ জনকে কেবল শীতকালীন অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফলে সংসদের নতুন অধিবেশনে এই ১৩২ জনের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে কোনও বাধা নেই। তবে ১৪ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেওয়া হয় লোকসভা এবং রাজ্যসভার স্বাধিকাররক্ষা কমিটিকে। এই ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন রাজ্যসভার সাংসদ এবং ৩ জন লোকসভার সাংসদ। গত ১২ জানুয়ারি লোকসভার তিন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
#WATCH | When asked about the revocation of suspended MPs, Parliamentary Affairs Minister Pralhad Joshi says, "All (suspensions) will be revoked. I have spoken with the (Lok Sabha) Speaker and (Rajya Sabha) Chairman, I have also requested them on behalf of the government...This… pic.twitter.com/F9xWqohPYg
— ANI (@ANI) January 30, 2024
মঙ্গলবার জোশী বলেন, “আমি লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারের তরফে আমি তাঁদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। আমি বলেছি, তাঁরা যেন সংশ্লিষ্ট স্বাধিকাররক্ষা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, সাসপেনশন তুলে নেন এবং তাঁদের (সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের) সংসদে আসার সুযোগ করে দেন।”
গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদ হানার ঘটনার পর শীতকালীন অধিবেশনে একের পর এক বিরোধী সাংসদ লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হন। সংসদের নিরাপত্তায় গলদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। ওই ঘটনা নিয়ে সভায় আলোচনার দাবিও তোলা হয়। তার জেরে লোকসভায় গোলমাল হয়। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ ওঠে একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে। স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তাঁদের সাসপেন্ড করেন। এই ঘটনার সমালোচনা করে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, সরকার পক্ষ সংসদে বিরোধী কোনও সদস্যকে চায় না। তাই তাদের অনুপস্থিতিতে বিল পাশ করানো হচ্ছে। একে ‘ক্রিকেট মাঠে কোনও ফিল্ডার ছাড়া ব্যাটিং করা’র সঙ্গে তুলনা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy