বিধানসভা ভোটের আগেও তিপ্রাকে জোটে টানতে সক্রিয় হয়েছিলেন শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের শপথের দিনেই জনজাতি দল তিপ্রা মথার সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই সঙ্গেই আবার জল্পনা তৈরি হল মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সরকারে তিপ্রার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে।সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার উপস্থিতিতে জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মানিক। তাঁর সঙ্গেই বিজেপির ৭ এবং সহযোগী আইপিএফটির এক মাত্র বিধায়ক শুক্লাচরম নোয়াতিয়াও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। এর পর তিপ্রা প্রধান প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেব বর্মনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ।
বিধানসভা ভোটের আগেও তিপ্রাকে জোটে টানতে সক্রিয় হয়েছিলেন শাহ। বৈঠক করেছিলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোত এবং দলের সভাপতি বিজয় রাঙ্খলের সঙ্গে। কিন্তু জনজাতি সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় ‘বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড’ ঘোষণার দাবিতে তিপ্রা নেতৃত্ব অনড় থাকায় সমঝোতা সম্ভব হয়নি। সোমবার প্রদ্যোত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট জানিয়েছেন, বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্য ভেঙে পৃথক বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড রাজ্য চান তাঁরা। যা, আয়তনের দিক থেকে হবে ভারতের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম। ২০১১ সালের জনগণনা রিপোর্ট তুলে ধরে তাঁর দাবি, বাঙালিদের সংখ্যাবৃদ্ধির কারণে ত্রিপুরার আদি বাসিন্দা জনজাতিরা নিজভূমে পরবাসীতে পরিণত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ওই জনগণনা রিপোর্ট জানাচ্ছে, উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যের মোট ৩৬ লক্ষ ৭৪ হাজার নাগরিকের মধ্যে বাঙালি ২৪ লক্ষ ১৪ হাজার। অন্য দিকে, জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ ৮ লক্ষ ৮৭ হাজার।
ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০টি জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে এর মধ্যে ১০টিতে বিজেপি এবং ৮টিতে তার সহযোগী দল আইপিএফটি জয়ী হয়েছিল। এ বার ১৩টি জিতে নিয়েছে প্রদ্যোতের তিপ্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy