—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা সমাবর্তনে যে পোশাক পরেন, তার বিরোধিতা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কালো জামা এবং কালো টুপির বিরোধিতা করা হয়েছে। দেশের সমস্ত কেন্দ্র পরিচালিত মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে শুক্রবার। তাতেই বলা হয়েছে, পোশাকবিধি বদল করতে হবে। চিরাচরিত কালো জামা এবং কালো টুপি সমাবর্তনে পরা চলবে না। পরিবর্তে ‘ভারতীয়’ কোনও পোশাক নির্দিষ্ট করতে হবে ওই বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য।
কেন্দ্র পরিচালিত মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধানদের কাছে চিঠি গিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। সূত্রের খবর, সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ডাক্তারি পড়ুয়াদের সমাবর্তনে যে ধরনের পোশাক পরার রীতি চালু রয়েছে, তা ‘মধ্যযুগীয়’। ব্রিটিশ শাসনের সময়কাল মনে করিয়ে দেয় ওই পোশাক। কারণ, ওই সময় থেকেই ওই রীতি চলে আসছে। কালো পোশাক এবং কালো টুপির মধ্যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ছাপ রয়েছে বলেও মনে করছে সরকার। তাই পোশাক বদলের কথা বলা হয়েছে।
মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলিতে যে চিঠি গিয়েছে, তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে থাকা মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলির সমাবর্তনে পড়ুয়াদের কালো পোশাক এবং কালো টুপি পরার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই পোশাকের উৎস মধ্যযুগের ইউরোপ। ব্রিটিশরা তাঁদের উপনিবেশগুলিতে এই পোশাক চালু করেছিলেন। ফলে এই রীতি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার বহন করে, যা বদলানো প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমস-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ভারতীয় পোশাকের নকশা তৈরি করবে। বিভিন্ন রাজ্যে সেই পোশাক বিভিন্ন রকম হতে পারে। স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী পোশাক নির্দিষ্ট করা হবে।’’ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এ বিষয়ে বিবেচনা করে নতুন ধরনের দেশীয় পোশাকের প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রকে জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সারা দেশ তোলপাড়। কলকাতার প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানেও। দিল্লি এমসে দীর্ঘ দিন কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। পরে সুপ্রিম কোর্টের আশ্বাসে কর্মবিরতি তুলে নিয়েছে এমস-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর মাঝেই এ বার চিকিৎসক পড়ুয়াদের সমাবর্তনের পোশাক পরিবর্তনের কথা জানাল কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy