— প্রতীকী চিত্র।
পঞ্জাব, হরিয়ানায় কৃষকদের টানা আন্দোলন ও অনশনের মুখে নতুন বছরের প্রথম দিনে মোদী সরকার চাষিদের স্বার্থে জোড়া সিদ্ধান্ত নিল। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৫-২৬ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য দিকে, ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম বাড়ার আশঙ্কায় জল ঢেলে ৩৮৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে, যাতে ডিএপি সারের প্রতি ৫০ কেজির ব্যাগ আগের মতো ১৩৫০ টাকা দরে মেলে।
এই জোড়া সিদ্ধান্তের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের দাবি করেছেন, তাঁর সরকার চাষিদের কল্যাণে দায়বদ্ধ। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকেরা ফসলের ন্যূনতম দামের মতো একগুচ্ছ দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছেন কেন? কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল আমরণ অনশনে নেমেছেন। আগামী ৪ জানুয়ারি পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় কিসান মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের যুক্তি, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে, তেমনই কাজ হবে। তথ্য ও সম্প্রচার-মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের মন্তব্য, হরিয়ানার ভোটে বিজেপির জয়ে প্রমাণ হয়েছে চাষিরা সরকারি প্রকল্পে কতখানি খুশি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ২০২৫-২৬ পর্যন্ত ফসল বিমা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তার জন্য অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে মোট ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কৃষিমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, ২০২৬-এর পরেও ফসল বিমা প্রকল্প চলবে। চাষিরা যাতে দ্রুত ফসল বিমায় ক্ষতিপূরণের টাকা পান এবং অর্থ বিলিতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে, তার জন্য প্রযুক্তি কাজে লাগাতে ৮২৪ কোটি টাকার তহবিল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ডিএপি সারের জন্য আজ প্যাকেজ ঘোষণা না করলে চাষিদের প্রতি ব্যাগে ২৪৩৫ টাকা গুনতে হত। অতিরিক্ত ভর্তুকির ফলে আগের মতো ১৩৫০ টাকা দরে সার মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy