বছর তিনেক ধরে জেলবন্দি রয়েছেন বিহারের কাইসর আলি। প্রতীকী ছবি।
তিহাড়ের পর এ বার বিহারের জেল। জেলের ভিতর তল্লাশি চলাকালীন আস্ত একটি মোবাইল ফোন গিলে ফেললেন এক বিচারাধীন বন্দি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। শনিবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষায় ধরা পড়ে, তাঁর পেটেই রয়েছে মোবাইলটি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিহারের গোপালগঞ্জ ডিভিশনাল সংশোধনাগারে বছর তিনেক ধরে বন্দি রয়েছেন কাইসর আলি। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে মামলা চলছে। ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি তাঁকে বিহারের হাজিয়াপুর গ্রাম থেকে মাদক-সহ গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে সময় থেকেই ওই মামলায় গোপালগঞ্জের সংশোধনাগারে রয়েছেন কাইসর।
শনিবার রাতে ওই সংশোধনাগারে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন এক কনস্টেবল। সে সময় একটি মোবাইল ফোন গিলে ফেলেন কাইসর। মুহূর্তের মধ্যে পেটব্যথায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। কাইসরের দাবি, তল্লাশির সময় মোবাইল ফোন-সহ পড়ার ভয়েই এ হেন কাণ্ড করেছেন। এর পর তড়িঘড়ি তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কাইসর। যদিও ওই মোবাইলটি কাইসরের কাছে কী ভাবে এল, তা জানা যায়নি।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সালাম সিদ্দিকী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘শনিবার রাতে পেটে যন্ত্রণার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে গোপালগঞ্জ জেলের এক বন্দিকে। তাঁর পেটের এক্স-রে পরীক্ষা করা হয়েছে। বন্দির পাকস্থলীতে যে বাইরের কোনও বস্তু রয়েছে, তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। তবে আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’’
কিছু দিন আগে প্রায় একই কাণ্ড করেছিলেন তিহাড়ের এক বন্দি। গত ৫ জানুয়ারি তল্লাশির সময় মোবাইল গিলে ফেলেন তিনি। দিল্লি সংশোধনাগারগুলির ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ গয়াল জানিয়েছিলেন, ১ নম্বর সেন্ট্রাল জেলে তল্লাশির সময় মোবাইল গিলে ফেলেছিলেন ওই বন্দি। পরে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এন্ডোস্কপি করে মোবাইলটি তাঁর পেট থেকে বার করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy