Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
MPhil is not recognised By UGC

ভুলেও এমফিলে ভর্তি হবেন না! ছাত্র-ছাত্রীদের মনে করিয়ে দিল ইউজিসি, কেন নিষেধ?

এম ফিল ডিগ্রি থেকে অনুমোদন গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালেই তুলে নিয়েছিল ইউজিসি। তারও আগে ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে এই বিষয়টি স্পষ্ট জানানো হয়েছিল।

—ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:২৫
Share: Save:

এমফিল বা ‘মাস্টার অফ ফিলোজফি’ ডিগ্রি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সতর্ক করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একটি নোটিসে তারা জানিয়েছে, পড়ুয়ারা যেন কোনও ভাবেই এই পাঠক্রমে ভর্তি না হন। কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই পাঠক্রম পড়ানোর দাবি করলেও নয়। কারণ, এমফিল ইউজিসি অনুমোদিত পাঠক্রম নয়।

এত দিন ছাত্র-ছাত্রীরা যে কোনও বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করার পর সেই বিষয়ে আরও এক বছরের অতিরিক্ত বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করতে পারতেন। যার পরে তাঁদের ওই বিষয়ে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হত। অর্থাৎ স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির মধ্যবর্তী ডিগ্রি ছিল এটি। কিন্তু গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে এই ডিগ্রি থেকে অনুমোদন তুলে নেয় ইউজিসি।

এ ব্যাপারে অবশ্য আগেই বলা হয়েছিল জাতীয় শিক্ষা নীতিতে। ২০২০ সালে প্রণীত ওই নীতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, এমফিল ডিগ্রি ‘বৈধ নয়’। পরে ২০২২ সালে ইউজিসি যখন জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করে, তখনই দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এই পাঠ্যক্রমে নতুন করে না পড়ানোর। এমনকি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি না করার নির্দেশ দেয় কমিশন।

কিন্তু সেই নির্দেশ দিয়েও বন্ধ করা যায়নি এমফিল পাঠ্যক্রম। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এর পরও এমফিলে ভর্তি নেওয়া চালু রেখেছে। ইউজিসি সেই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সতর্ক করেছে পড়ুয়াদেরও।

একটি সরকারি বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানিয়েছে, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এমফিলের জন্য নতুন করে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাই ইউজিসির তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই পাঠ্যক্রমটিকে আর অনুমোদন করে না তারা।’’

এ ব্যাপারে ২০২২ সালের ১৪ নম্বর ইউজিসি বিধির উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, নিয়ম না মানা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেন অবিলম্বে ইউজিসির নির্দেশ মেনে ওই পাঠ্যক্রমে ভর্তি নেওয়া বন্ধ করে।

এমফিল নিয়ে ইউজিসির নির্দেশিকার নিন্দা করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘‘এটা তো কেন্দ্রীয় সরকারের এক ধরনের ফতোয়া। চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ফতোয়া আমরা মানব না। আমাদের পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষজ্ঞেরা যা বলেছেন, সেই গাইডলাইন মেনে চলব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

UGC MPhil
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy