ইউজিসি। —ফাইল চিত্র।
স্নাতকের পর এ বার স্নাতকোত্তর কোর্সের ‘কারিকুলাম ও ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’-এর খসড়া প্রকাশ করল ইউজিসি। সেই খসড়ায় মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপরে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, কৃষি ক্ষেত্র ইত্যাদির উপরেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা স্নাতকোত্তর কোর্স পুরোপুরি অনলাইনে করতে পারবেন বলেও খসড়ায় জানানো হয়েছে। শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, এই খসড়া অনুযায়ী শিক্ষার গুরুত্ব কমবে এবং সহজেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাইয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই খসড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদেও নেমেছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি-সহ অনেকে।
শিক্ষকদের অনেকেই বলছেন, স্নাতকোত্তর স্তরে গভীরে গিয়ে পড়াশোনা হওয়াই কাম্য। কিন্তু নতুন খসড়া অনুযায়ী সেই সুযোগ অনেক কমেছে। স্নাতকোত্তরে এক বছরের অনলাইন কোর্স করলেও কোনও পড়ুয়া ডিগ্রি পেয়ে যাবে বলে বলা হয়েছে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস জানান, খসড়ায় স্নাতকোত্তর এক ও দুই বছরের পাশাপাশি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড কোর্স চালুর কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়াও, এক বছরের পিজি ডিপ্লোমা কোর্স চালুর কথাও বলা হয়েছে। যাঁরা তিন বছরের স্নাতক কোর্স করে আসবেন তাঁরা দু’বছরের স্নাতকোত্তরে ভর্তি হবেন। এক বছর পরে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে দিতেও পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের পিজি ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়া হবে। যাঁরা চার বছরের স্নাতক কোর্স করে আসবেন তাঁরা এক বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হবেন। তাঁদের এই এক বছর শুধু কোর্স ওয়ার্ক ও গবেষণা করানো হবে। দেবব্রত বলেন, ‘‘স্নাতকোত্তরে যে বিষয়ভিত্তিক স্পেশালাইজ়েশন বা গভীর জ্ঞানচর্চার সুযোগ ছিল, এ ক্ষেত্রে তা থাকছে না। পরিবর্তে বেশি করে মেশিন লার্নিং ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চর্চার কথা বলা হয়েছে। স্নাতকোত্তর শিক্ষাকে অনলাইন বাজারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy