আগামিকালই শপথ নিতে পারেন উদ্ধব ঠাকরে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সরকার গঠনের চার দিনের মাথায় মহারাষ্ট্রে পিছু হটল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট আস্থাভোটের নির্দেশ দিতেই মঙ্গলবার দুপুরে একে একে ইস্তফা দেন অজিত পওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফডণবীস। তার পরেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিসরে নতুন করে সামনে চলে এলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তাঁকে জোটের মুখ করেই রাজ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস।
এ দিন সন্ধ্যা ৭টায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারীর সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তিন দলের প্রতিনিধিরা। সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে আগামিকালই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন উদ্ধব।
তবে রাজভবনে যাওয়ার আগে তিন দলের মধ্যে এ দিন মু্ম্বইয়ে ফের এক দফা বৈঠক হবে। সেখানে জোটের মুখ হিসাবে উদ্ধব ঠাকরেকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে শিবসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পর তাঁর নেতৃত্বেই সরকার গঠনের দাবি জানানো হবে। উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রী হলে কংগ্রেস এবং এনসিপি থেকে মোট দু’জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। সেই দৌড়ে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট এবং এনসিপি-র জিতেন্দ্র কোলাম্বাকর। আবার শরদ ঘনিষ্ঠ জিতেন্দ্র অওহদকেও উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: মহা-নাটকের যবনিকা পতন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেবেন্দ্র ফডণবীস
এর আগে, অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে তিন দলের মধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। রাজভবনে যাওযার আগে এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তা নিয়ে ফের এক দফা বৈঠক করবেন তিন দলের নেতারা। তাতে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই মুম্বই রওনা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল এবং কেসি বেণুগোপাল। তাঁদের উপস্থিতিতেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে। তিন দলের প্রতিনিধিরা যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করবেন বলে জানিয়েছেন কেসি বেণুগোপাল। তিনি বলেন, ‘‘সন্ধ্যায় বৈঠকের পর তিন দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে। সেখানেই জানানো হবে, জোটের মুখ কে হচ্ছেন। তবে আমার মনে হচ্ছে, উদ্ধবজিই দায়িত্ব পাবেন।’’
উদ্ধবই যে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সে ব্যাপারে তিন দলই ঐকমত্য বলে জানা গিয়েছে। এ দিন সকালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অজিত পওয়ার ইস্তফা দেওয়ার পরেই সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দেন, ‘‘আগামী পাঁচ বছরের জন্য উদ্ধব ঠাকরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।’’ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে দেবেন্দ্র ফডণবীস ইস্তফা দেওয়ার পর একই কথা বলেন এনসিপি নেতা নবাব মালিকও।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আস্থাভোট এগিয়ে দিতেই বদলে গেল মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি
বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘ দিন জোটে থাকা শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে দিন কয়েক আগেও দ্বিধাবিভক্ত ছিল কংগ্রেস। সে কারণে জোটে সায় দিতে যথেষ্ট সময় নেন দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও। কিন্তু এ দিন একেবারে উল্টো সুর ধরা পড়ে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের গলায়। দলের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে নয়, মহারাষ্ট্রের সেবা করতেই জন্ম শিবসেনার। বিজেপির সংস্পর্শে আসার পরই মতিভ্রম হয় ওদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy