প্রতীকী চিত্র।
মাঝরাতে দুই যুবক গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন হাসপাতালে যাবেন বলে। অচেনা ঠিকানা। তাই এগোচ্ছিলেন গুগ্ল ম্যাপ অনুসরণ করে। আচমকাই সেই গাড়ি এসে পড়ল নদীর মাঝখানে। ভেসে যেতে যেতে বরাতজোরেই কোনও মতে বেঁচে গেলেন দু’জন।
ঘটনাটি কেরলের কাসারাগোড়ের। তবে এই ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে গুগ্ল ম্যাপের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। অচেনা জায়গার দিশা পেতে গুগ্ল ম্যাপে অন্ধ ভাবে ভরসা করেন অনেকেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই ম্যাপ প্রাণ সংশয়েরও কারণ হতে পারে।
কেরলের ওই ঘটনায় দুই যুবক গাড়ি নিয়ে এসে পড়েছিলেন ফুঁসতে থাকা এক নদীর মাঝামাঝি রেলিংহীন দুর্বল সেতুতে। সেখান থেকেই নদীর জলের তোড় তাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে কিছুদূর গিয়েই গাড়িটি একটি গাছের ডালে আটকে যায়। তাতেই পরিত্রাণ পান দু’জনে। সাহায্য চেয়ে ফোন করেন। পুলিশ এসে উদ্ধার করে দু’জনকেই। উদ্ধার করা হয় গাড়িটিকেও।
কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা জানিয়ে পুলিশকে ওই দুই যুবকের একজন বলেছেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎই দেখি একটি সরু গলিতে ঢুকে পড়েছি। তার পরেই এসে পড়ি জলের সামনে। হেডলাইটের আলোয় জল দেখতে পাচ্ছিলাম। তবে একটা সেতুও দেখতে পাচ্ছিলাম। বুঝতে পারিনি ওই সেতুর দু’দিকেই জল রয়েছে, আর সেতুটির কোনও রেলিং নেই।’’ বর্ষার জলে নদীটির জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। জলের তোড়েই গাড়ি-সহ দুই আরোহী ভেসে যান।
এর আগেও গুগ্ল ম্যাপ দেখে নদীতে ভেসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোট্টায়ামে এমনই এক নদীর মাঝে এসে পড়েছিলেন হায়দরাবাদ থেকে আসা একদল পর্যটক। সে বার পর্যটকদের উদ্ধার করা গেলেও গাড়িটি উদ্ধার করা যায়নি।
গুগ্ল অবশ্য জানিয়েছে, এমনটা হওয়ার কথা নয়। কারণ গুগ্ল ম্যাপ প্রতি দিন প্রতি সেকেন্ডে ‘আপডেট’ করা হয়। তার জন্য আলাদা ‘টিম’ আছে। এ ছাড়াও বাইরে থেকেও তথ্য পেলে তা যাচাই করে ‘আপডেট’ করা হয় তথ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy