ছোট্ট সতীশ ( বাঁ দিকে)। এই নলকূপেই পড়ে গিয়েছিল সে (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা ধরে উদ্ধার অভিযান চালানোর পর অবশেষে হাসি ফুটল উদ্ধারকারীদের মুখে। নলকূপের ভিতর থেকে জীবিত অবস্থার বার করে নিয়ে আসা হল দু’বছরের সাত্ত্বিক সতীশ মুজাগোন্দকে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন উদ্ধারকারীরা। উদ্ধারকাজে ভিড় জমানো জনতা হাতহালি দিয়ে সেই সাফল্য উদ্যাপন করলেন।
ঘটনাস্থল কর্নাটক। রাজ্যের লাচিয়ানা গ্রামের ১৬ ফুট গভীর একটি খোলামুখ নলকূপে বুধবার পড়ে গিয়েছিল ছোট্ট সতীশ। তার পর থেকেই উৎকণ্ঠায় কেটেছে তার পরিবারের সদস্যদের এবং গ্রামবাসীদের। সতীশকে উদ্ধারের জন্য ডাক পড়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ)। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ নলকূপে পড়ে গিয়েছিল শিশুটি। প্রথমে স্থানীয় ভাবে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সতীশ দু’টি পাথরের খাঁজে এমন ভাবে আটকে ছিল যে, সেই উদ্ধারকাজ ছিল যেমন ঝুঁকিবহুল, তেমনই কঠিন।
ফলে ডাক পড়ে এনডিআরএফের। তত ক্ষণে ১৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছিল। খবর পাওয়ার পরেই ওই গ্রামে হাজির হন উদ্ধারকারীরা। তার পর দু’ঘণ্টার মধ্যেই ছোট্ট সতীশকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন এনডিআরএফের সদস্যেরা। উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, নলকূপের ভিতর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু দু’টি পাথরের খাঁজে সতীশ যে ভাবে আটকে ছিল, তাতে অনেক বেশি ঝুঁকি ছিল। তার মধ্যে সে পড়ে যাওয়ার পর ১৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছিল। ভিতরে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছিল যাতে শিশুটির কোনও রকম সমস্যা না হয়। ক্যামেরা পাঠিয়ে শিশুটির অবস্থা বোঝার চেষ্টা করা হয়। অত্যন্ত কৌশলে নলকূপের পাশ থেকে সমান্তরাল ভাবে গর্ত খুঁড়ে শিশুটিকে বার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির কাছেই রয়েছে নলকূপটি। বাইরে খেলার সময় নলকূপে পড়ে যায় সে। মাথা নীচে পা উপরের দিকে ছিল তার। স্থানীয় এক বাসিন্দা নলকূপের ভিতর থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ পেতেই প্রতিবেশীদের খবর দেন। তখন খোঁজ পড়ে সতীশের। তার পরই তার উদ্ধারকাজের জন্য স্থানীয় প্রশাসন, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy