আয়েশা ফতিমা এবং আয়েশা মাকরানি। ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনের নাম আয়েশা। দু’জনের রোল নম্বরও এক। দু’জনেই ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় ১৮৪ স্থান অধিকার করেছেন। অন্তত এমনটাই দাবি করছে তাঁদের শংসাপত্র। তা হলে আমলা নিয়োগের পরীক্ষায় প্রকৃত সফল কে? এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধন্দ। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের।
আয়েশা ফতিমার বয়স ২৩। আর আয়েশা মাকরানির বয়স ২৬। দু’জনের বাড়িই মধ্যপ্রদেশে। পরস্পরের বাড়ির মধ্যে দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। দু’জনেরই শংসাপত্রে লেখা রয়েছে, ইউপিএসসিতে তাঁদের র্যাঙ্ক ১৮৪। তাঁদের রোল নম্বরও হুবহু মিলে গিয়েছে। প্রমাণ দিতে দু’জনেই অ্যাডমিট কার্ড দাখিল করেছে। এর পর দুই আয়েশাই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইউপিএসসিতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মাকরানি বলেন, ‘‘আমি ২ বছর খুব পরিশ্রম করেছি। কাউকে আমার পরিশ্রমের ফল কেড়ে নিতে দেব না। ইউপিএসসি এবং সরকারের থেকে সুবিচার চাই।’’ অন্য দিকে, ফতিমাও অনড়। তিনি জানিয়েছেন, এই কাণ্ড দেখে হতবাক হয়েছেন। এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নাম থেকে র্যাঙ্ক, সবে হুবহু মিল থাকলেও অ্যাডমিট কার্ডে একটি সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে। মাকরানির অ্যাডমিট কার্ডে লেখা, ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল তাঁর ইন্টারভিউ হয়েছে। দিনটা ছিল বৃহস্পতিবার। ফতিমার অ্যাডমিট কার্ডে লেখা, ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল তাঁর ইন্টারভিউ হয়েছে। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল আদতে মঙ্গলবারই ছিল। ফতিমার অ্যাডমিট কার্ডে ইউপিএসসির ওয়াটার মার্ক এবং কিউআর কোড রয়েছে। মাকরানির কার্ডে সে রকম কিছু নেই। সেটি দেখতে অনেকটা সাধারণ প্রিন্ট আউটের মতো।
ইউপিএসসি সূত্রের খবর, ফতিমাই প্রকৃত সফল প্রার্থী। কিন্তু কী ভাবে অন্য প্রার্থীরও একই রোল নম্বর ও র্যাঙ্ক হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy