জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগের ঘন জঙ্গলে বৃহস্পতিবার সেনা-জঙ্গি সংঘাতে আহত দুই সেনা জওয়ান। পাশাপাশি নিখোঁজ আরও এক জওয়ান। বুধবার জঙ্গিদের গুলিতে দুই সেনাকর্তা এবং এক পুলিশকর্তার মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার জঙ্গিদের কোণঠাসা করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী। গভীর রাত পর্যন্ত চলে তুমুল সংঘর্ষ। তখনই জঙ্গিদের চালানো গুলিতে দুই জওয়ান আহত হন বলে সেনা সূত্রে খবর। পাশাপাশি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না আরও এক জওয়ানের।
সেনা সূত্রে খবর, বুধবার জঙ্গিদের গুলিতে সেনার এক কর্নেল, মেজর এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডিএসপির মৃত্যুর পর অভিযান সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কোকেরনাগের ঘন জঙ্গলে থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও জোরদার অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। রাতের অন্ধকারে অভিযান চালানোর সময় যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে অবিরাম গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। তখনই জঙ্গিদের গুলিতে দুই জওয়ান আহত হন।
আরও পড়ুন:
সেনা সূত্রে খবর, চিনার কোরের জিওসি (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং ভিক্টর ফোর্সের জিওসি মেজর জেনারেল বলবীর সিংহ পুরো বিষয়টির দিকে নজর রেখেছেন। সেনা জানিয়েছে, জঙ্গিদের পরাস্ত করতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযানে বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও সেনা সূত্রে খবর। জঙ্গিরা কোনও ভাবেই রেহাই পাবে না বলে সেনার আশ্বাস।
প্রসঙ্গত, অনন্তনাগে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে সেনা-জঙ্গি সঙ্ঘাত। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে অনন্তনাগের গারুল এলাকায় কয়েক জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পায় সেনা। মঙ্গলবার গভীর রাতেই তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। বুধবার ভোর থেকে অনন্তনাগের কোকেরনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনীর। চলতে থাকে অবিরত গুলির লড়াই। সেই সংঘর্ষে নিহত হন কর্নেল মনপ্রীত সিংহ, মেজর আশিস ধনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট। তাঁদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঝাঁঝরা হয়ে যায় তিন জনের দেহ। এর পর সেই জঙ্গিদের চালানো গুলিতেই আহত আরও দুই সেনা জওয়ান।