গত মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরে আচমকাই উধাও হয়ে যান তিন যুবক। সম্প্রতি দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তৃতীয় জনের এখনও খোঁজ মেলেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষের একটা অংশ। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক মহিলার নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক (আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। সমালোচনার মুখে পড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের দেবসার থেকে গত মাসে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিন যুবক। বৃহস্পতিবার বৈশো খাড়িতে এক যুবকের দেহ মিলেছে। রবিবার আরও এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার পরেই রবিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন মৃতদের পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই যুবকদের খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে পুলিশি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। সেই বিক্ষোভের সময়ই এক মহিলা প্রতিবাদীকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন:
এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কাশ্মীরের রাজনীতিকেরাও। পিপল্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) নেত্রী ইলতিজা মুফতি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘‘কুলগামের দেবসারে রহস্যমৃত্যু নিয়ে এক মহিলা শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করছিলেন। সে জন্য তাঁকে পুলিশকর্মীর লাথি মারার ঘটনা স্তম্ভিত করে। যাঁদের আইন রক্ষা করা উচিত, তাঁদের ক্ষমতার বলে এই আচরণ সাধারণ মানুষকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করব।’’ অন্য একটি পোস্টে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসন কী গোপন করার চেষ্টা করছে? পিপল্স কনফারেন্সের সভাপতি সাজ্জাদ লোন জানিয়েছেন, কুলগামে মৃতদের আত্মীয়াকে মারধরের ঘটনা ‘ঘৃণ্য’। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা কাশ্মীরে প্রায়ই ঘটে থাকে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ আগা রাহুল্লা মেহেদি জানিয়েছেন, যে ভাবে বার বার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তা উদ্বেগের। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়ও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মাঝেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে সোমবার বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ডিআইজি স্তরে তদন্ত করা হবে। ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করা হবে।