আরও দুই ভারতীয় নাগরিকের ফাঁসি হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। মৃতদের নাম মুহাম্মদ রিনাশ অরঙ্গিলোত্তু এবং মুরলীধরন পেরামতত্ত ভেলাপ্পিল। উভয়ের বাড়ি কেরলে। দু’টি পৃথক খুনের মামলায় তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আদালত। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ফাঁসির কথা সরকারি ভাবে ভারতীয় দূতাবাসকে জানিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ কথা জানানো হয়। বস্তুত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারিই উত্তরপ্রদেশের শাহজ়াদি খানের ফাঁসির কথাও দূতাবাসকে জানিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সরকার।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক নাগরিককে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন রিনাশ। মুরলীধরন দোষী সাব্যস্ত হন এক ভারতীয়কেই খুনের মামলায়। উভয়েরই মৃত্যুদণ্ড হয় সে দেশের আদালতে। পরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শীর্ষ আদালতও সর্বোচ্চ সাজাই বহাল রাখে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রশাসন ভারতীয় দূতাবাসকে জানায়, দু’জনেরই ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, উভয়কেই সব রকম আইনি সহায়তা দিয়েছে দূতাবাস। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কাছে তাঁদের প্রাণভিক্ষার আর্জিতেও আইনি সহায়তা করেছিল দূতাবাস।
ফেব্রুয়ারি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ফাঁসি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের তরুণী শাহজ়াদিরও। আবু ধাবিতে এক দম্পতির চার মাসের সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব ছিল তাঁর। শিশুটির হঠাৎই মৃত্যু হয়। ওই দম্পতি শাহজ়াদির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন। এর পরে তদন্ত করে আবু ধাবি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে সেখানকার আদালত ওই শিশুর মৃত্যুতে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে শাহজ়াদিকে এবং ফাঁসির নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন:
শাহজ়াদিকেও প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্য দেওয়া হচ্ছিল ভারত সরকারের তরফে। ‘রিভিউ পিটিশন’ দাখিল করতে সাহায্য করা হয়েছিল। তবে গত সোমবার বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর ফাঁসি হয়েছে আবু ধাবিতে। শাহজ়াদি এবং কেরলের দুই বাসিন্দার ফাঁসির কথা একই দিনে ভারতীয় দূতাবাসকে জানিয়েছিল সে দেশের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক জানায়, কেরলের ওই দুই ব্যক্তির ফাঁসির কথা ইতিমধ্যে তাঁদের পরিবারকে জানানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।