দু’পক্ষের বয়ান শোনার পরে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে সংস্থা। নিজস্ব চিত্র
দু’দিন আগেই বেঙ্গালুরুতে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় কামরাজকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। হিতেশা চন্দ্রানী নামে এক মহিলা নেটমাধ্যমে আহত হওয়ার ভিডিও পোস্ট করে জানান, খাবার দিতে এসে ঘুসি মেরে তাঁর নাক ভেঙে দিয়েছেন কামরাজ। কিন্তু দু’দিন কাটতে না কাটতেই উঠে আসছে নতুন তথ্য। অভিযুক্ত দাবি করেছেন, ওই মহিলা তাঁকে জুতো নিয়ে মারতে এসেছিলেন। মারতে শুরু করার পর তিনি আত্মরক্ষার্থে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করেন, তাতে ওই মহিলার হাত ছিটকে গিয়ে নাকে লাগে। আঙুলে পরা আংটির ধাক্কায় নাক কেটে যায়। ফলে তিনি ঘুসি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন, এই অভিযোগ মিথ্যে।
দু’পক্ষের বয়ান শোনার পরে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে সংস্থা। জোম্যাটোর তরফ থেকে আপাতত ওই অভিযুক্তকে সবেতন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। মামলার খরচের দায় নিয়েছে সংস্থা। জানিয়েছে, তাঁরা চান, যাতে দু’পক্ষের কথাটাই সাধারণ মানুষের কাছে উঠে আসে। সত্য যাতে সকলের সামনে আসে, সেই চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থা।
ঘটনার দিন জোম্যাটোতে খাবার আনতে দিয়েছিলেন ওই মহিলা। অনেকটা দেরি হওয়ায় তিনি ফোন করে বলেন, অর্ডার বাতিল করতে অথবা খাবার বিনামূল্যে দিতে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সংস্থা। তারপরেও ঘটনা নিয়েই রয়েছে দু’রকমের বয়ান। একদিকে ডেলিভারি বয় কামরাজ বলেন,‘‘ সময়মতো খাবার পৌঁছে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই মহিলা খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। তারপর চপ্পল তুলে তেড়ে আসেন। আমি প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করি। তাতেই ওঁর হাতে পরা আংটির ধাক্কা লাগে নাকে। তাতেই উনি আহত হন।’’
অন্যদিকে ওই মহিলা বলছেন, ‘‘আমি যখন টাকা দিয়েছি, তখন ভাল পরিষেবা দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই কারণেই আমি টাকা ফেরতের কথা বলি। একবারের জন্যও আমি হাত তুলিনি ডেলিভারি বয়ের গায়ে। উনি আমাকে মারতে এলে আত্মরক্ষা করেছি মাত্র।’’
ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে সংস্থা। জানিয়েছে, কামরাজ ৫ হাজারের কাছাকাছি খাবার সরবরাহ করেছেন। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কখনও করেননি। যদিও এ ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছে সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy