প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বর্ষার মরসুমে সংক্রমিত হয়েছিল কুনোর দু’টি চিতা। আর সেই সংক্রমণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে প্রাণী দু’টির। কুনো জাতীয় উদ্যানে ইতিমধ্যেই ৯টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অষ্টম এবং নবম চিতার মৃত্যু হয়েছে বর্ষাজনিত সংক্রমণেই। এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।
নামিবিয়া এবং আফ্রিকা থেকে আনার পর থেকে কুনোতে একের পর এক চিতার মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৬টি পূর্ণবয়স্ক চিতা এবং তিনটি শাবক রয়েছে। সেই মৃত্যুর তালিকায় সর্বশেষ চিতাটি হল ‘ধাত্রী’। গত ৩ অগস্ট মৃত্যু হয় চিতাটির। একের পর এক চিতার মৃত্যুতে চিতা প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী কারণে চিতার মৃত্যু হচ্ছে, তা জানতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তড়িঘড়ি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হয়। চিতার মৃত্যুর কারণ খুঁজতে বিদেশি সেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ১১ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
কিন্তু শেষ দু’টি চিতার মৃত্যু কী ভাবে হল, তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী। শনিবার মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে চিতার মৃত্যু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কুনোতে সম্প্রতি যে দু’টি চিতার মৃত্যু হয়েছে, তার নেপথ্যে রয়েছে বর্ষার মরসুমের সংক্রমণ। বিদেশ থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের এ বিষয়ে তথ্যও দেওয়া হয়েছে। কুনোতে চিতার উপর আরও নজরদারি কী ভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।” এ বার কি বাকি চিতাগুলিকে অন্যত্র সরানোর চিন্তাভাবনা হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আপাতত তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”
মন্ত্রীর দাবি, কুনো জাতীয় উদ্যানের আধিকারিক থেকে সমস্ত কর্মী চিতাগুলির যথেষ্ট ভাল দেখাশোনা করছেন। সে দিক থেকে কোনও খামতি নেই। তাঁর কথায়, “প্রতিটি চিতাকে সুস্থ এবং সবল রাখার দায়িত্ব আমাদের। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে নিরন্তর আলোচনা চলছে। এই প্রকল্পকে সফল করতে সর্বতোভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’ গত ৩ অগস্ট মৃত্যু হয় ‘ধাত্রী’র এবং ১৪ জুলাই মৃত্যু হয়েছে ‘সুরজের’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy