—প্রতীকী ছবি।
মণিপুরের কাংচুপ এলাকা থেকে এক পুরুষ ও এক মহিলার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীর এক জওয়ানের পরিবারের সদস্যেরা চূড়াচাঁদপুর থেকে লেইমাখংয়ে একটি বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিলেন। কাংচুপ চেকপোস্টে যৌথবাহিনীর সামনে থেকেই তাঁদের গাড়ি থামিয়ে ৫ জনকে নিয়ে যায় মেইতেই বাহিনী। পরে তাঁদের মধ্যে এক প্রৌঢ়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেনা উদ্ধার করলেও আরও দুই পুরুষ ও দুই মহিলার খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানায়, এক মহিলার গুলিবিদ্ধ দেহ পশ্চিম ইম্ফলের লামসাং থেকে উদ্ধার হয়েছে। কুকিরা জানায়, ওই দেহটি জখম প্রৌঢ়ের স্ত্রী নেংকিম হাওকিপের। তাঁদের ছেলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। এক পুরুষের দেহ মিলেছে পূর্ব ইম্ফলের ইরিবুংয়ে। কুকিদের মতে, সেটি লামকায় কর্মরত গ্রামরক্ষী জামখোথাং লাংঘালের। দু’টি দেহই অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে মর্গে রাখা হয়েছে। কুকি সংগঠনগুলির অভিযোগ, জামখোথাংকে ধরার পরে ইম্ফলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জনতার সামনে দৌড় করিয়ে, সারা দিন ধরে অত্যাচার চালিয়ে তার পরে রাস্তার মধ্যে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তারা আরও জানায়, চান্ডেল জেলার বংজয় গ্রামের প্রধানের বড় ছেলে ডেনিস থংমিনলেনকে চাষের জমিতে যাওয়ার পথে মেইতেইরা কুকি এলাকার মধ্যে ঢুকে অপহরণ করেছে।
এ দিকে চান্ডেল জেলায় মায়ানমার সীমান্তের ওপারে মায়ানমার সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পরে মেইতেই জঙ্গিদের একটি দল এ পারে পালিয়ে আসে। তারা আসাম রাইফেলসের মেইতেই কমান্ডিং অফিসারের সাহায্য চাইলে তিনি ট্রাকে করে তাদের ইম্ফলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ। তা জানতে পেরে স্থানীয় জনতা প্রতিবাদে নামে। আসাম রাইফেলসের ওই কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে মহিলাদের হাতাহাতিও হয়। চান্ডেল কুকি সংগঠন বিষয়টি জানিয়ে আসাম রাইফেলসের ডিজি, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও আইজি দক্ষিণকে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে। অবিলম্বে ওসি এবং অন্য মেইতেই অফিসার ও কর্মীদের কুকি এলাকা থেকে সরানোর দাবি জানানো হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে মণিপুর সরকার সিদ্ধান্ত নিল, যে সব জেলায় সংঘর্ষ হয়নি সেই জেলাগুলির সদর শহরে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy