প্রতীকী ছবি।
ভারতের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন সম্পর্কে কেন্দ্রের প্রশ্নের জবাব দিলেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন সংশোধনের সাম্প্রতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও নয়া আইন মেনে চলারও বার্তা দেওয়া হয়েছে টুইটারের তরফে।
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত সমস্ত বিষয়তে নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্র। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রামের মতো নেটমাধ্যমকে এ বিষয়ে নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে কেন্দ্র। তাতে জানানো হয়েছিল, নতুন নিয়ম বিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, তার জন্য এক জনকে ‘কমপ্লেনস অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে। সাইটে কোনও আপত্তিকর কনটেন্ট রয়েছে কি না, তা দেখার এবং প্রয়োজনে সরানোর দায়িত্বেই তিনি থাকবেন। তা ছাড়া, নেটমাধ্যমে প্রকাশিত লেখা। ছবি এবং ভিডিয়ো-র উৎস জানাতেও বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে এই নয়া আইন।
প্রয়োজনে কমপ্লেনস অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে নয়া আইনে। টুইটার জানিয়েছে, আইনের এই বিষয়টি নিয়ে তাদের গ্রাহকেরা উদ্বিগ্ন। টুইটারের বক্তব্য, ‘নতুন তথ্য়প্রযুক্তি আইনের এই শর্তের সঙ্গে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির কোনও সামঞ্জস্য নেই’। পাশাপাশি, নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন কার্যকরের বিষয়টি আরও ৩ মাস পিছিয়ে দিতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে আরও আলোচনা চান।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রের জারি করা নতুন নিয়ম যাতে মানা হয়, তার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কর্তৃপক্ষকে তিন মাস সময় দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে বক্তব্য জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। যদি ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো বড় সংস্থা সেই নিয়ম না মানে, সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy