উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ কেন্দ্রীয় সরকারের চারধাম প্রকল্পের অংশ। সিল্কিয়ারা থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। সেই সুড়ঙ্গের কাজেই বিপর্যয় নেমে আসে গত ১২ নভেম্বর। ধস নেমে সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আবার সুড়ঙ্গ খোঁড়া শুরু করবে সরকার।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আবার খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হবে শীঘ্রই। তবে তার আগে বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সুড়ঙ্গে শ্রমিক এবং কর্মচারীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। সেই কারণে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আগে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি নিরীক্ষা করা হবে। সুড়ঙ্গের ভিতর এবং বাইরে যা যা মেরামত দরকার, সেগুলি করা হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই শ্রমিকদের আবার সেখানে পাঠানো হবে।
সুড়ঙ্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয়, সবই করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের আধিকারিক। সিল্কিয়ারা থেকে বারকোট পর্যন্ত এই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হলে পুণ্যার্থীদের চারধাম যাত্রা আরও সহজ হবে। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১,৩৮৩ কোটি টাকা। এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে গঙ্গোত্রী থেকে যমুনোত্রী পর্যন্ত মোট ২৮ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র সাড়ে চার কিলোমিটারে। সেই কারণেই এই সুড়ঙ্গকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
যে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হৃষীকেশ এমসে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে বাড়ি ফেরানো হবে ৪১ জনকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শ্রমিকেরা সকলেই সুস্থ আছেন।
গত ১২ নভেম্বর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে কাজ চলাকালীন ধস নামে। প্রায় ৬০ মিটার ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে পড়েন ৪১ জন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু অত্যাধুনিক যন্ত্রেও ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার কাজ শেষ করা যায়নি। উদ্ধারকাজে বার বার বাধা আসে। শেষ পর্যন্ত ১৭ দিন পর মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy