—ফাইল চিত্র।
সীমান্ত সঙ্ঘাতের জেরে গত কয়েক মাসে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু পড়শি দেশকে শত্রু ভাবা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এ বিষয়ে দু’দেশের উদ্দেশেই এ বার এমন বার্তা দিলেন দিল্লিতে বেজিংয়ের রাষ্ট্রদূত সান উইদং। তাঁর মতে, তিক্ততা ভুলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কী ভাবে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টাই করতে হবে দুই দেশকে।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে সান উইদং বলেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে, দুই দেশকেই এগোতে হবে। নিজের পড়শিকে শত্রু ভাবা, কোনও একটি ঘটনার জন্য তাকে বিপজ্জনক ভেবে বসা, মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে দু’দেশের নেতাদের ঐকমত্য হওয়া অত্যন্ত জরুরি। দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে নতুন করে কোনও সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। চিনের পদক্ষেপকে সম্প্রসারণবাদী বলে ভাবা উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত সঙ্ঘাত মিটে যাওয়াই কাম্য, তবে তার জন্য ধৈর্য্য এবং স্থির সঙ্কল্পে এসে পৌঁছনোও প্রয়োজন।’’
সীমান্ত সঙ্ঘাতের জেরে সম্প্রতি একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। চিনা পণ্য বয়কট করে ‘আত্মনির্ভর’ হয়েও ওঠার ডাকও উঠেছে। কিন্তু চিনা সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা বসানো ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে মোটেই হিতকর নয় বলেও মন্তব্য করেন সান। তাঁর কথায়, ‘‘সঙ্ঘাত পরিস্থিতিতেও ভারতকে নিয়ে চিনের মত বদলায়নি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও ছেদ পড়েনি। কিন্তু গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনও দেশের পক্ষেই আত্মনির্ভর হওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বায়নের যুগে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ যত বাড়বে, ততই মঙ্গল। তবেই উন্নতিসাধন সম্ভব।’’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ চিন সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ট্রাম্পকে ‘বার্তা’ বেজিংয়ের
চিনা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ভারতে যে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে সান উইদং বলেন, ‘‘চিন এবং ভারত পরস্পরের সঙ্গী, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। একে অপরকে সুযোগ করে দেয় দুই দেশ, নাকি একে অপরের জন্য বিপদ তৈরি করে? চুম্বকের মতো একে অপরকে আকর্ষণ করা উচিত আমাদের, নাকি জোর করে দূরে যাওয়া? পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে চিনের অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী। এমনকি বর্তমান সময়ে, বহির্বিশ্বে ভারতের রফতানি ধাক্কা খেলেও, চিনে ভারতীয় পণ্যের রফতানি ৩১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: আইপিএলে ধাক্কা, চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে করোনার থাবা
ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু গালওয়ান সঙ্ঘর্ষের পর আলোচনার পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে এবং দু’দেশের সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদী এবং শি চিনফিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন সান উইদং। তাঁর দাবি, আমেরিকাই চিন সম্পর্কে গোটা দুনিয়াকে বিভ্রান্ত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy