ফাইল চিত্র
আগামী এপ্রিলে দেশ জুড়ে যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে বলে রেল সূত্রে খবর। করোনা সংক্রমণের হার কমছে। এতদিন বন্ধ হয়ে থাকা ট্রেনগুলি চালুর প্রক্রিয়া গত কয়েক মাস ধরেই ধাপে ধাপে শুরু হয়েছে। নতুন ট্রেনগুলিকে আপাতত বিশেষ ট্রেন হিসেবে চালানো হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশির ভাগ বিশেষ ট্রেনের মেয়াদই আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ হচ্ছে।
ফলে নতুন অর্থবর্ষে টিকিট বিক্রি থেকে আয় বাড়াতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে নিয়ে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার সম্ভাবনা রেলমহলে জোরদার হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, টিকাকরণের কাজ শুরু হওয়ায় ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় এক বছর ধরে ঝিমিয়ে থাকা পর্যটন ক্ষেত্রও ধীরে ধীরে চাঙ্গা হচ্ছে। দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ই-কেটারিংয়ের পরিষেবাও খুলে দেওয়া হয়েছে।
আপাতত ট্রেনে প্যান্ট্রি কার চালু না হলেও সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন অনুমোদিত খাবারের স্টল খুলে দেওয়া হচ্ছে। সংস্থার নিজস্ব বেস কিচেনও ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে রেলের একটি সূত্র জানিয়েছে।
দিন দুয়েক আগেই মুম্বইতে শহরতলির ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে। খুব তাড়তাড়ি চেন্নাইও সেই পথে হাঁটবে বলে রেল সূত্রে খবর। এ রাজ্যে শহরতলির ট্রেন আগেই ছোটা শুরু করেছে। বিভিন্ন জেলায় যে সব লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলে তাও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এ বার দেশে প্রতি মাসে গড়ে ১৫০ টি করে দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হচ্ছে। সম্প্রতি তেজস এক্সপ্রেস চালু করার কথাও জানানো হয়েছে।
চলতি আর্থিক বছরে যাত্রী পরিবহণ থেকে রেলের আয়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে রেলের যাত্রীভাড়া খাতে আয়ে বিপুল ঘাটতি থাকবে। বছরের শেষ পর্বে বিশেষ ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েও ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন রেল কর্তারা। ফলে তারপরেও প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি থাকবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি আর্থিক বছরে বিভিন্ন খাতে রেল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সব দিক সামলে রেলের অপারেটিং রেশিও ৯৬.১৬ টাকার মধ্যে থাকবে বলে রেলবোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে।
নতুন আর্থিক বছরে যাত্রী পরিবহণ খাতে আয়ের ঘাটতি এড়াতেই ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়ার দাবি রেলের অন্দরেই জোরদার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এক রেল কর্তা বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। আয়ের ঘাটতি কমাতে পণ্য পরিবহণে জোর বাড়লেও তাতে সবটা পূরণ সম্ভব নয়। ফলে যাত্রিবাহী ট্রেন অচিরেই সচল করার দিকে যেতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy