ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য গাড়ির চালক, পথচারীদের থেকে জরিমানা সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু সেই জরিমানার টাকা সরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। এই অভিযোগে পালওয়ালের ট্রাফিক বিভাগের প্রধান কনস্টেবল জনককে গ্রেফতার করল হরিয়ানা পুলিশ। আরও অভিযোগ, ই-চালানের মাধ্যমে আইন ভঙ্গকারীদের থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা তুলে তা সরকারি অ্যাকাউন্টে জমা করেননি। একই অভিযোগে আরও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁরা ‘ভুয়ো’ ই-চালান দিয়ে টাকা তুলেছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মে মাসে আইন ভাঙার জন্য গাড়ির চালকদের কত টাকা জরিমানা করা হয়, তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেন পুলিশ সুপার লোকেন্দ্র সিংহ। তখনই দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ সুপার দেখেন, জরিমানা হিসাবে যত টাকা আদায় করা হয়েছে এবং ব্যাঙ্কে যত টাকা জমা পড়েছে, তার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। এর পরেই তদন্তের নির্দেশ দেন লোকেন্দ্র। তাতে দেখা যায়, প্রায় তিন কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। বিষয়টি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ডিএসপি (ট্রাফিক) সন্দীপ মোর।
তদন্তে দেখা গিয়েছে, প্রধান কনস্টেবল জনক এবং এক্সেম্পলি হেড কনস্টেবল ওমবীর ই-চালান কেটে জরিমানার টাকা নিয়ে তা নয়ছয় করেছেন। সরকারি টাকা তুলে তা নিজেদের কাজে খরচ করেছেন। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালের জুন মাসে ই-চালানের মাধ্যমে ১.৪ লক্ষ টাকা জরিমানা হিসাবে তোলা হলেও তা সরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়নি। একই ভাবে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ১.৪ লক্ষ টাকা ই-চালানের মাধ্যমে তোলা হলেও সরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়নি। জনক মোট তিন কোটি ২৩ লক্ষ টাকা সরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা না করে নিজের পকেটে পুরেছেন। ওমবীর ১২ হাজার ৭০০ টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন। দু’জনের নামেই মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত জনককে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy