“আমার বারবার মনে হচ্ছিল, আমি আর বেঁচে ফিরব না। আজ যেন আমার পুনর্জন্ম হল।” ছবি: সংগৃহীত
রবিবার ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ের দু’টি ট্রলির মধ্যে ধাক্কা লাগে সেই থেকে ২০ ঘণ্টার উপর তিনি রোপওয়েতে আটকে। একসময় মধুবনির এই বাসিন্দা শৈলেন্দ্রকুমার যাদব ভেবেছিলেন আর বুঝি বেঁচে ফেরা হল না। দেওঘরের রোপওয়ে দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধার হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বললেন,“আমার বারবার মনে হচ্ছিল, আমি আর বেঁচে ফিরব না। আজ যেন আমার পুনর্জন্ম হল।”
দেওঘরের বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাছে ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয়। শৈলেন্দ্র রোপওয়ে কখনও চড়েননি। সেই অভিজ্ঞতা লাভ করতেই ট্রলিতে উঠেছিলেন। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দুই ট্রলির মধ্যে ধাক্কা লাগে। রবিবার বিকেলে এই দুর্ঘটনার পর রোপওয়ে পরিচালক ও অন্যান্য সহকর্মীরা পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। পর্যটকরা সকলেই রোপওয়ের ট্রলির ভিতরেই আটকে থাকেন। কিছুক্ষণ নয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
সোমবার সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে পর্যটকদের উদ্ধার করে। শৈলেন্দ্র জানান, তাঁকে চেয়ারে বেঁধে কপ্টারের মধ্যে টেনে তোলা হয়।
বায়ুসেনার দু’টি কপ্টার এখনও উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার জানান, স্থানীয় লোকেরাও উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি সকলকে উদ্ধার করা হবে।
এখন অবধি জানা গিয়েছে, দু’জন মহিলার মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy