মুকুল সাংমা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পেলেন তৃণমূলের মুকুল সাংমা। বৃহস্পতিবার মেঘালয় বিধানসভার সচিবালয় থেকে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক রনি ভি লিংডোর সমর্থন নিয়ে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যের সংসদীয় রাজনীতিতে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলার শাসকদল। উল্লেখ্য, মেঘালয়ে শাসক শিবিরে রয়েছে এনডিএ। যদিও সেখানে দু’জন বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন। ‘ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি’ সেখানে মূল শাসকদল।
এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে মুকুলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল মেঘালয়ের রাজনীতিতে পোড়খাওয়া ব্যক্তিত্ব। কংগ্রেসের হয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল। অভিষেক তাঁর পোস্টে আশা প্রকাশ করেছেন, মেঘালয়ের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য মুকুল নিশ্চিত ভাবেই তাঁর স্বর তুলবেন।
২০২১ সালে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই সাংগঠনিক রদবদল করেছিলেন। সেই সময়েই অভিষেককে যুব সংগঠন থেকে সরিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর অভিষেকের লক্ষ্য ছিল, বাংলার বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যেই গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের ভোটে লড়েছিল তৃণমূল। গোয়া এবং ত্রিপুরায় সাফল্য না পেলেও মেঘালয়ে পাঁচটি আসনে জয় পায় জোড়াফুল শিবির।
মেঘালয় বিধানসভায় মোট আসন ৬০টি। নিয়মানুযায়ী বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পেতে গেলে ১০ ভাগের এক ভাগ (৬টি) আসন পেতে হয়। তৃণমূলকে সমর্থন করেন কংগ্রেসের লিংডো। জানা গিয়েছে, বুধবার মেঘালয় বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বিরোধী দলনেতা নির্ধারিত করার দাবি জানিয়েছিলেন মুকুল এবং লিংডো। সূত্রের খবর, এর পর লিংডো হবেন মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধী শিবিরের মুখ্যসচেতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy