Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
TMC

Prayagraj: প্রয়াগরাজ-কাণ্ডে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত হয়নি কেন ? মানবাধিকার কমিশনকে স্মারকলিপি তৃণমূলের

মানবাধিকার কমিশনকে স্মারকলিপিতে তৃণমূলের দাবি, সুনীল যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর স্ত্রী এবং ২২ বছরের প্রতিবন্ধী বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা।

শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা। ছবি: টুইটার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫৭
Share: Save:

প্রয়াগরাজ-কাণ্ডে দুই মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও তার তদন্ত শুরু করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনকি, অভিযোগপত্রে ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করা হয়নি। শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে এই অভিযোগ করল তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটি।

শুক্রবার সত্যানুসন্ধান কমিটির তরফে মানবাধিকার কমিশনকে এই স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে এবং উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। এই স্মারকলিপিতে সত্যানুসন্ধান কমিটির আরও দুই সদস্য বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর এবং মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিও স্বাক্ষর করেছেন। ওই স্মারকলিপিতে মোট ১২টি বিষয় উল্লেখ করেছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজের থরবই থানা এলাকার খেভরাজপুরে একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। নিহতদের মধ্যে দু’বছরের এক শিশুকন্যা, দুই মহিলাও ছিলেন। ঘটনার পরের দিন রবিবার প্রয়াগরাজে গিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূলের সত্যানুন্ধান কমিটির পাঁচ সদস্য।

স্মারকলিপিতে তৃণমূলের দাবি, গ্রামবাসী এবং প্রয়াগরাজ জেলার গঙ্গাপারের পুলিশ সুপারের সামনেই তাঁদের কাছে ওই পরিবারের সদস্য সুনীল যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর স্ত্রী এবং ২২ বছরের প্রতিবন্ধী বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এফআইআর-এ ধর্ষণের ধারা (ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা) যুক্ত করা হয়নি। ঘটনার পর ওই দু’জনের নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এমনকি, তাঁদের জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল এবং যৌনাঙ্গে রক্তপাতের চিহ্ন মিলেছিল বলেও অভিযোগ।

তৃণমূলের দাবি, সুনীলের অভিযোগ অনুযায়ী ধর্ষণের ধারা যুক্ত না করেই তা খতিয়ে দেখতে এই দু’জনের শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। যা একেবারেই বেআইনি। স্মারকলিপিতে সত্যানুন্ধান কমিটির আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুনীল, তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও ২৪ এপ্রিল, রবিবার গঙ্গাপারের পুলিশ সুপার তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে অভিযুক্তকে আটক করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হবে। তবে শুক্রবার এই স্মারকলিপি পেশ করা পর্যন্ত তা করা হয়নি।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব, ডিজি এবং প্রয়াগরাজের সিনিয়র পুলিশ সুপারের কাছ থেকে জবাব চাওয়া উচিত বলেও এই স্মারকলিপিতে দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy