আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল কংগ্রেস আগরতলা শহরে বড়সড় বিক্ষোভ মিছিল করে কার্যত নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল আজ। আর তার কিছু পরেই মিলনচক্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ লাইভ দেখানোর অনুষ্ঠানে দলের নেতা-কর্মীরা হামলার মুখে পড়লেন।
অভিযোগ, প্রায় ৬০-৭০ জন বিজেপি সমর্থক অন্য এলাকা থেকে এসে আক্রমণ করে। ভাঙচুর চালায়। হামলায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুজিবর ইসলাম মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁর হাত ভেঙেছে। অপারেশন করাতে হবে। শুভঙ্কর দেবনাথ নামে এক সমর্থকের মাথায় আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, “তৃণমূলের অনেকগুলি গোষ্ঠী রয়েছে। তাই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কোনও অবস্থাতেই পশ্চিমবঙ্গের মতো পরিস্থিতি ত্রিপুরায় হতে দেওয়া যাবে না।”
আগরতলায় আট দফা দাবির ভিত্তিতে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিলে এ দিন প্রচুর সমর্থক শামিল হয়েছিলেন। তাঁদের কাছে এটা ছিল কার্যত শক্তির মহড়া। সাংসদ শান্তনু সেন জানান, এ দিন ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, আজকের মিছিলের এই জনজোয়ার আগামী
বিধানসভা নির্বাচনে আছড়ে পড়বে। কুনাল ঘোষ দাবি করেন, ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকে চাইছেন। বিজেপির মতো বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গড়বে না তৃণমূল। এ রাজ্যে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপি জোট সরকারের অপশাসন রাজ্যবাসী প্রত্যক্ষ করছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল নেতাদের উপর ‘তালিবানি কায়দায়’ হামলার হুমকির তীব্র নিন্দা করে সুবল ভৌমিক বলেন, “তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আক্রমণের ঘটনায় জড়িতদের আজ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy