তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র। —ফাইল ছবি।
তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হোক— এই মর্মে গত কাল লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিদেশ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাগরিকা ঘোষ। ফলে একই দলের তৃতীয় সদস্য হিসেবে তাঁকে এই মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে নেওয়া হবে কি না, তার জবাব এখনও পর্যন্ত স্পিকারের কাছ থেকে আসেনি বলেই খবর। প্রসঙ্গত, বিদেশ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, মহুয়া নিজেই বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির সদস্যপদ চাইছেন তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রকের পরিবর্তে। ওই কমিটির চেয়ারম্যান নিশিকান্ত দুবের সঙ্গে মহুয়ার তীব্র বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল গত বছর। ২০২৩ সালে মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ এনেছিলেন নিশিকান্ত। তার জেরে দ্বিতীয় মোদী সরকারের সময়কালে, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সাংসদ পদ খোয়াতে হয় মহুয়াকে।
আজ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে নিশিকান্ত বলেন, এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি। তবে আজ নিজের এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে তিনি ‘সন্ধির বার্তা’ দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সরকারকে সম্মিলিত ভাবে পরামর্শ দেব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০৪৭ সালের উন্নত ভারতের জন্য আমরা চেষ্টা করব। শাসক দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন দেশ গড়তে। অতীতকে ভুলে গিয়ে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে।’ এই বিষয়ে জানতে চেয়ে মহুয়াকে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্য জয়া বচ্চনও নিশিকান্ত দুবের নেতৃত্বাধীন কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। বদলে তাঁকে নতুন করে শ্রম বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় প্যানেলে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। এই রদবদলকে তৃণমূল এবং এসপি-র মধ্যে বোঝাপড়ার কৌশল হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy