ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রসঙ্গ এবার বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র নেতাদের আলোচনার মধ্যে চলে এল।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর এই জোট রাজনৈতিক তাৎপর্য হারিয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। শুধুমাত্র সংসদের অধিবেশন চলাকালীন লোকসভা এবং রাজ্যসভার কক্ষ সমন্বয়েই ইন্ডিয়া-র নেতাদের তৎপরতার প্রসঙ্গ শোনা যায়। কিন্তু এবার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (যাঁর দলকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বিষয়ে সবথেকে বেশি উদাসীন মনে করা হয়) নিজেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-কে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্য দিকে, কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, “ইন্ডিয়া-র সব দলগুলি একসঙ্গে সংসদে ভিতরে এবং বাইরে ওয়াকফ বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এখন কার্যত ইন্ডিয়া-র বক্তব্যকেই মান্যতা দিচ্ছে।”
কংগ্রেসের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, “আমরা এখন নিজেদের সংগঠনেই বেশি মনোযোগী ঠিকই, কিন্তু সংসদের ভিতরে ও বাইরে বাকিদের সঙ্গে সমন্বয়ও করছি।এখন সামনে লোকসভা নির্বাচন নেই বলে আসন রফার প্রয়োজন পড়ছে না। বিহারের মতো ভোটমুখী যে সব রাজ্যে দরকার পড়ছে, সেখানে জোট করা হচ্ছে।” গত সপ্তাহে আমদাবাদে কংগ্রেসের জাতীয় অধিবেশন বসেছিল। সেখানে যে রাজনৈতিক প্রস্তাব আনা হয় তাতে প্রথমে ইন্ডিয়া-র প্রসঙ্গ ছিল না। সেই প্রস্তাবে শেষবেলায় জোটের প্রসঙ্গ ঢোকানো হয়। দাবি করা হয়, বিরোধীদের জোটের বিষয়ে কংগ্রেস আগাগোড়া গঠনমূলক সহযোগিতার চেষ্টা করেছে। শুধু পুরনো শরিকই নয়, লোকসভা ভোট পর্যন্ত নতুন দলগুলির সঙ্গেও তারা আলোচনা করেছে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতেও মানুষের সঙ্গে জুড়ে থাকা বিষয়গুলি নিয়ে জোট গড়তে কংগ্রেস দায়বদ্ধ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)