মঙ্গলবার সকালে গান্ধীমূর্তির সামনে সরকারের বিরুদ্ধে ধর্না দেবে তৃণমূল। প্রতীকী ছবি।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীরা থাকলেও, যায়নি তৃণমূল। আজ সকালে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে প্রায় সবাই হাজিরা দিলেও দেখা যায়নি তাদের। আজ সংসদের দুই কক্ষে বিক্ষোভের পর কংগ্রেসের অভিযোগ, আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি এড়াতে রাহুল গান্ধীর নামে অপপ্রচার করছে সরকার পক্ষ। এই অভিযোগে সব বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় চকে গিয়ে সরব হয়েছেন খড়্গে। সেখানেও অনুপস্থিত তৃণমূল সাংসদেরা। তাৎপর্যপূর্ণ এই অনুপস্থিতির পর দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে গান্ধীমূর্তির সামনে সরকারের বিরুদ্ধে ধর্না দেবে তৃণমূল।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, “আজ আমাদের গোটা দিনের আন্দোলনে সব বিরোধী দলকেই পাশে পেয়েছি। এসপি থাকতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু আগেই আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তাদের সাংসদ রামগোপাল যাদব সোমবার দিল্লি পৌঁছতে পারবেন না। আপ, বিআরএস-এর সাংসদেরা আমাদের সঙ্গে বিজয় চকে গিয়েছেন। তৃণমূল শারীরিক ভাবে সঙ্গে না থাকলেও আত্মিক ভাবে রয়েছে!” তাঁর তির্যক মন্তব্য, “তৃণমূলের সাগরদিঘির ক্ষত এখনও শুকোয়নি!”
দশ দিন আগে সাগরদিঘি বিধানসভা আসনে পরাজয়ের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে ‘অশুভ আঁতাঁতের’ কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে ‘একা লড়াইয়ের’ কথাও বলতে শোনা গিয়েছে মমতাকে। এর পর তৃণমূলের তরফে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলা হচ্ছে, এটা স্পষ্ট যে বাংলায় আর কোনও দলের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতার প্রশ্নই নেই। আগামী লোকসভায় তৃণমূল শুধু একা লড়বে তাই-ই নয়। সাগরদিঘি এবং মেঘালয়ে নির্বাচনের পর অ-কংগ্রেসি সমমনস্ক রাজনৈতিক দলগুলি আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হবে। তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান সাংসদ আজ বলেছেন, “অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি দলগুলির একজোট হওয়া নিয়ে দিল্লিতে নড়াচড়া শুরু হয়ে গিয়েছে।” আজ লোকসভা ও রাজ্যসভায় রাহুলের মন্তব্যকে ঘিরে বিজেপি-র সঙ্গে তুমুল বিতণ্ডা হয় কংগ্রেসের, তৃণমূলকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। দুই কক্ষেই তৃণমূল বকেয়া বরাদ্দ এবং জীবন বিমা এবং এসবিআই-এর আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে সরব থেকেছে। তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিরোধীদের পরিসর ক্রমশ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকার তার সংখ্যার দাপটে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করে দেবে, এমন হওয়া উচিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy