ছবি পিটিআই।
সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিন সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় জনগণনা পঞ্জি (এনপিআর) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে সরব হল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের মতে, সরকারের উচিত সিএএ, এনআরসি নিয়ে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করুক সরকার।
সর্বদল বৈঠকে আজ তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন লোকসভায় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূলের বক্তব্য, যে সংখ্যার দাপটে মোদী সরকার এই আইনগুলি আনছে, সেই সংখ্যা নেহাতই সাময়িক। অতীতে কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার উদাহরণ টেনে সুদীপ মনে করিয়ে দিয়েছেন, আজ এনডিএ-র ৩০৩টি আসন রয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে মাঝের শূন্যটা সরে গিয়ে তারা ৩৩-এ নেমে যেতে পারে! পরে তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে সরকার যদি না-ও বুঝতে পারে যে এই আইনগুলির ফলে দেশে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, পরে তো আর বুঝতে কিছু বাকি নেই। আজ দেশজোড়া এই উত্তাল পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা।’’ আধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন এনপিআর আনা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন সুদীপ।
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর প্রয়াণ দিবস এবং সরস্বতী পুজোর মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে কেন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হল তাঁর বক্তৃতায় সুদীপ সেই প্রশ্নও তুলেছেন। দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা, বেকারিত্ব নিয়েও সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন ওই তৃণমূল সাংসদ। পরে ডেরেক জানান, এই বৈঠক অন্তঃসারশূন্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ, বিরোধীদের কথা শুনতে সরকার নারাজ। তারা শুধু নিজেদের আনা বিলগুলি পাশ করানোর জন্যই সংসদকে ব্যবহার করছে। তাঁর তির্যক মন্তব্য, ‘‘এই অধিবেশন থেকে নতুন আর কি আশা করার আছে? সেই একই চা, একই ধোকলা এবং কিছু মিষ্টি মিষ্টি কথা!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy