নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিল তৃণমূল। প্রতীকী ছবি।
গত বাজেট অধিবেশনের মতো এ বারের শীতকালীন অধিবেশনেও মহিলা সংরক্ষণের দাবিকে সামনে এনে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিল তৃণমূল। তিন দিন আগে সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন সরকারি নেতৃত্বের সামনে। আজ লিখিত প্রশ্নে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন্দ্র এই বিলটি সংসদে পেশ করতে চায় কি না। রাজ্যসভা, লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় মহিলা সাংসদ ও বিধায়কের তালিকাও চেয়েছেন তিনি।
অভিষেকের বক্তব্যের জবাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু তালিকা দিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে মহিলা বিধায়কের সংখ্যায় পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে ছত্তিশগঢের পরেই, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে (১৩.৭০ শতাংশ)। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এই হিসাব যথাক্রমে ১৪.৯৪ এবং ১৪.০৫ শতাংশ। রিজিজু বলেন, ‘লিঙ্গ সাম্যের বিষয়টি সরকার গুরুত্ব গিয়েই দেখে থাকে। এই সংক্রান্ত বিল আনার আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সতর্ক পর্যালোচনা করা জরুরি।’
লোকসভা থেকে বিধানসভায় মহিলাদের জন্য তিন-ভাগের এক ভাগ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে আইন তৈরির দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে বিজু জনতা দল, শিরোমণি অকালি দলও। মনমোহন সিংহের সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করানোর চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। সে সময় নীতীশ কুমারের জেডিইউ এর বিরোধিতা করলেও এখন তারাও এর পক্ষে। তৃণমূলের প্রশ্ন, বিজেপি, কংগ্রেস, ডিএমকে, তৃণমূলের মতো বড় দলগুলি রাজি থাকা সত্ত্বেও কেন মহিলা বিল পাশ করানো হচ্ছে না? মোদীর নির্বাচনে সাফল্যের পিছনে মহিলাদের ভোটকে অন্যতম কারণ বলে মনে করে বিজেপি। সেই মোদী সরকারে কোর্টেই বল ঠেলে দিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলছে, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সক্রিয়। মোদী সরকার এ বিষয়ে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করছে না কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy