Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Santanu Sen

Santanu Sen: বিপর্যয়ে দেওয়া তহবিলের টাকা কই, প্রশ্ন শান্তনুর

সাংসদদের কাছ থেকে তাঁদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা অনুদান হিসেবে নিলেও সেই টাকার একশো শতাংশ কেন খরচ করা হচ্ছে না, প্রশ্ন সাংসদ শান্তনু সেনের।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২২ ০৭:৪৬
Share: Save:

প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে কেন্দ্র সাংসদদের কাছ থেকে তাঁদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা অনুদান হিসেবে নিলেও সেই টাকার একশো শতাংশ কেন খরচ করা হচ্ছে না, প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। সূত্রের মতে, শান্তনুর অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদীয় এলাকা উন্নয়ন তহবিল কমিটির চেয়ারম্যান হরিবংশ সিংহ সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের কর্তাদের কাছে কৈফিয়ৎ চেয়ে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সূত্রের খবর, আজ দিল্লিতে সংসদীয় এলাকা উন্নয়ন তহবিল সংক্রান্ত বৈঠকে শান্তনু বলেন, ২০০৪ সালে সুনামির পরে সাংসদেরা নিজেদের তহবিল থেকে ৩১.৩৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ১৮ বছর পরেও সেই টাকার ৯৫ শতাংশ খরচ হয়েছে। বাকি টাকার কোনও খোঁজ নেই। একই ভাবে ২০১১ সালে সিকিমের ভূমিকম্পের সময়ে ৫.৮৬ কোটি টাকা সংগ্রহ হলেও খরচ হয়েছিল ৫.৫১ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের কেরলের বন্যার পরে সাংসদেরা নিজেদের তহবিল থেকে দিয়েছিলেন ৩৯.৫৩ কোটি টাকা। শান্তনুর অভিযোগ, তার মধ্যেও ৩২.২৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

সব মিলিয়ে প্রায় দশটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উদাহরণ দিয়ে শান্তনু বলেন, ওই সময়ে সাংসদদের তহবিল থেকে টাকা নেওয়া হলেও একটি ক্ষেত্রেও তার একশো শতাংশ খরচ হয়নি। সূত্রের দাবি, বাকি টাকা কোথায় গেল, তা তিনি কমিটির চেয়ারম্যান হরিবংশ সিংহের কাছে জানতে চান। বিষয়টিতে তাঁকে সমর্থন করেন অন্য সাংসদেরাও। বৈঠকে উপস্থিত পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের সচিবের কাছে জবাব চেয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বাকি টাকা কোথায় গেল, তা জানার অধিকার রয়েছে সাংসদদের। কেন সম্পূর্ণ অর্থ খরচ করা যায়নি এবং সেই টাকা কোথায় রয়েছে, তার সবিস্তার রিপোর্ট মন্ত্রকের কর্তাদের জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হরিবংশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Santanu Sen TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE