কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে উচ্ছেদ করতে দিল্লির বাংলোতে দল পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে মহুয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দল পৌঁছনোর আগেই বাংলো খালি করে দিয়েছেন তাঁর মক্কেল। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ বাংলো খালি করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট (ডিওই)-এর একটি দল শুক্রবার সকালে মহুয়ার বাংলোতে পৌঁছেছে। তাদের হাতে বাংলোর জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়।
মহুয়ার আইনজীবী শাদান ফারাসাত বলেন, ‘‘দিল্লির টেলিগ্রাফ লেনে ৯বি নম্বর যে বাড়িটিতে মহুয়া মৈত্র ছিলেন, শুক্রবার সকাল ১০টায় তা সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়েছে। ডিওই-এর আইনজীবীর হাতে বাংলোর জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। ডিওই আসার আগেই বাংলো খালি করা হয়েছিল। ফলে কোনও ‘উচ্ছেদ’ হয়নি।’’
লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বাংলো খালি করার নোটিস দিয়েছিল ডিওই। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন মহুয়া। তা খারিজও হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার হারিয়েছেন মহুয়া। কারণ, তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার পরেই শুক্রবার সকালে কেন্দ্রের দল পৌঁছে যায় মহুয়ার বাংলোর সামনে।
কারণ দর্শানোর নোটিস (শো-কজ়) পাঠানোর পরেও সরকারি বাংলো খালি করেননি মহুয়া। গত মঙ্গলবার তাঁকে পত্রপাঠ বাংলো খালি করতে বলে কেন্দ্রের ডিওই। নোটিসে লেখা হয়, বাংলো খালি করতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের রাস্তাতেও হাঁটতে পারে তারা। দিল্লি হাই কোর্টে মহুয়ার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় দল মহুয়াকে উচ্ছেদ করতে পৌঁছে যায়। তবে বলপ্রয়োগের আগেই বাংলোটি মহুয়া ছেড়ে দিয়েছেন।
গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ হয়। ৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মহুয়া তা করেননি। কেন এখনও বাংলো খালি করেননি, তিন দিনের মধ্যে তা জানাতে বলে মহুয়াকে নোটিস পাঠায় ডিওই। মহুয়া চেয়েছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর তিনি দিল্লির বাংলো খালি করবেন। আদালতে মহুয়ার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যদি তাঁর মক্কেলকে সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে বর্ধিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য যে কোনও খরচ দিতেও তিনি প্রস্তুত। কিন্তু বিচারপতি জানান, সরকারি আবাসনে থাকার জন্য আবেদন ডিওই-র কাছেই করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত কিছু করবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy