প্রতীকী ছবি।
আসন্ন নির্বাচনের আগে অসমে ফের ঘর গোছাতে ব্যস্ত তৃণমূল। সেই সময়েই আদালতের নির্দেশ প্রদেশ তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা চার বারের বিধায়ক গোপীনাথ দাস বড় স্বস্তি পেলেন। পাঁচ বছর ধরে চলা মামলার পরে রাজ্য তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি, প্রাক্তন মন্ত্রী গোপীনাথ দাসকে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল আদালত।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বকো বিধানসভা কেন্দ্রের তৎকালীন এআইইউডিএফ বিধায়ক গোপীনাথবাবুর বিরুদ্ধে বাড়ির নাবালিকা পরিচারিকাকে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। ঘটনাটি নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম ছিল। কয়েক দিন পরে গ্রেফতার হন গোপীনাথবাবু। দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে। জামিন পেলেও রাজনীতির লড়াই থেকে ছিটকে যান দাস। পরে তিনি তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি হন। তাঁর নেতৃত্বে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ে তৃণমূল।
কিন্তু বারবার প্রশ্ন উঠেছে, নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কেন দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? প্রাক্তন মন্ত্রী গোপীনাথবাবু আজ বলেন, “গত পাঁচ বছর আমি চূড়ান্ত মানসিক, সামাজিক হেনস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। কিন্তু আইন-ব্যবস্থায় আমার আস্থা ছিল। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হল। একাংশ রাজনৈতিক নেতার ষড়যন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের একপেশে ভূমিকা আমাকে খলনায়কে পরিণত করেছিল।”
অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক শুনানি শেষে জানান, অভিযোগকারিণীর পক্ষের আইনজীবী কোনও অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেননি। শুধুই মুখের কথায় অপরাধ প্রমাণ হয় না। যে সব সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ হাজির করা হয়েছে, তা হয় পরস্পরবিরোধী, না হলে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমনকি অভিযোগকারিণী নিজেই পরে ভাষ্য বদল করে জানিয়েছে, গ্রামের কিছু মানুষের চাপে সে গোপীনাথবাবুর নামে মিথ্যে কথা বলেছে। তিনি মোটেই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেননি। আদালত মনে করছে, ধর্ষণের মিথ্যে মামলা করে গোপীনাথবাবুর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে।
গোপীনাথবাবু বলেন, “নাবালিকা ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল, ঘৃণ্য অপরাধের আইনি ধারাকে রাজনৈতিক স্বার্থে কী ভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে— রাজ্য তথা উত্তর-পূর্বের রাজনীতিতে এই ঘটনা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy